1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

হাতে এক মাসের অর্থ দেউলিয়ার ঝুঁকিতে পাকিস্তান

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমা অব্যাহত আছে। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাবে, ৫৮৪ মিলিয়ন ডলার কমে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৬.১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৃহ¯পতিবার এ তথ্য জানায়। তারা বলছে, ২০১৪ সালের এপ্রিলের পর এটাই সবচেয়ে কম রিজার্ভ।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০২৩ অর্থবছরে এই রিজার্ভ নিয়ে পাকিস্তান তার অতিপ্রয়োজনীয় আমাদনিগুলোও পূরণ করতে পারবে না।
দ্য ডনের খবরে বলা হয়, গত ১২ মাসে স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের (এসবিপি) রিজার্ভ ১১.৬ বিলিয়ন ডলার কমেছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ১৭.৭ বিলিয়ন ডলার; যা এখন ৬.১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ অর্থ দিয়ে এক মাসের আমদানি করতে পারবে পাকিস্তান।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় নেট বৈদেশিক রিজার্ভ এখন ৫.৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ দেশের মোট তরল বৈদেশিক রিজার্ভ এখন ১২ বিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল কখন তার নবম পর্যালোচনা শেষ করবে তা এখনও ¯পষ্ট না। তবে পাকিস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইলসহ বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, এখনও দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে আছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান ২০১৯ সালে ৬ বিলিয়ন ডলারে আইএমএফ প্রোগ্রামে প্রবেশ করেছিল; যা চলতি বছরের শুরুতে যা ৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। ১.১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ের জন্য আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাকিস্তান সরকার এখন আলোচনা চালাচ্ছে। এ কারণে প্রোগ্রামটির নবম পর্যালোচনা মূলতবি রয়েছে।
অনেক স্বাধীন অর্থনীতিবিদরা বিশ্বাস করেন, সরকার আইএমএফ-এর নির্ধারিত প্রাক-প্রয়োজনীয় কর্মক্ষমতা মানদ-ে পিছিয়ে পড়েছে।
যদিও অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারসহ একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, সৌদি আরব এবং চীন রিজার্ভ ইস্যুতে ইসলামাবাদের পাশে আছে। তবে এই ইস্যুতে এই দুই দেশ এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চিয়তা দেয়নি।
এদিকে রেটিং এজেন্সি এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল বলছে, তেলের দাম না কমলে বা বৈদেশিক সহায়তার উন্নতি না হলে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপের মধ্যে থাকবে। চলতি বছরের ভয়াবহ বন্যা, ক্রমবর্ধমান খাদ্য ও জ্বালানি মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সুদের হার ক্রমবর্ধমানসহ কয়েকটি বিষয় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক গতিকে হতাশ করবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com