স্টাফ রিপোর্টার ::
জেলা প্রশাসক ও কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেছেন, সুনামগঞ্জ জেলা একমাত্র বোরো ফসলের উপর নির্ভরশীল। অকাল বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমেই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ করা হয়। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার তাই সরকারের নজর রয়েছে হাওরের দিকে। হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ গত ১৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে। সব জায়গায় যদিও কাজ শুরু হয়নি তবে অন্যান্য কাজ যেমন জরিপ, পিআইসি গঠন এগুলো চলছে। তিনি বলেন, কিছু মুষ্টিমেয় লোকের প্রয়োজনে যেন কোন বাঁধ নির্মাণ করা না হয়, অধিকাংশ মানুষের প্রয়োজনে কাজ করার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, সতর্কতার সাথে এবং কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় না নিয়ে কাজ করতে হবে। কোন গাফিলতির অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে হবে। অনিয়ম হলে আমাদের জানান এবং সক্ষম যারা তাদের পিআইসি কমিটির সদস্য করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, কোন অবস্থাতেই পিআইসি বিক্রি করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মো. মামুন হাওলাদার, নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মো. সামসুদ্দোহা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল ম-ল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম খান, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ, আবু সুফিয়ান, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, হাওর ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশ্মীর রেজা, সাধারণ স¤পাদক পিযুষ পুরকায়স্থ টিটু, ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ, সঞ্জীব তালুকদার টিটু। এছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলার সকল ইউএনও ও এসওগণ উপস্থিত ছিলেন।