স্টাফ রিপোর্টার ::
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের নৈগাং গ্রামের একটি কালভার্ট সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক এবং হাসাউড়া বাজারের আগে আরও একটি কালভার্ট সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না হওয়ায় হাসাউড়া-বনগাঁও সড়কে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক দ্রুত মেরামত করার দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া, আব্দুর রহীম ও শফিক মিয়া জানান, এবারের ভয়াবহ বন্যায় এই এলাকার যোগাযোগ সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেছে। নৈগাং ও হাসাউড়া এলাকার দুইটি কালভার্ট সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কও ভেঙে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে কালভার্ট সেতুর মেরামত কাজ না হওয়ায় যানবাহন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই দুইটি কালভার্ট সেতুর অ্যাপ্রোচ দ্রুত মেরামতের দাবি আমাদের।
নৈগাং গ্রামের মো. আলাউদ্দিন বলেন, দিনের বেলায়ও ভাঙা এই কালভার্ট সেতুর পাশে দিয়ে চলাচল করলে ভয় হয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
একই গ্রামের হুমায়ুন মিয়া বলেন, ভাঙা সেতুগুলোর ধারে কাছে দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা চলাচল করলেও ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়। কার্লভাট সেতু দুইটির অ্যাপ্রোচ মেরামতের দাবি আমাদের।
মোটরসাইকেল চালক সুজন মিয়া বলেন, কালভার্ট সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সেতু দিয়ে চলাচলের সময় সতর্ক থাকতে এলাকাবাসী বাঁশ ফেলে রেখেছেন। তবুও বৃদ্ধ ও শিশুরা নানা সমস্যার সম্মুখিন হন।
সিএনজি চালক করিম উল্লাহ বলেন, ভাঙা কালভার্ট সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের পাশে দিয়ে গাড়ি চলাচলের সময় মারাত্মক ভয় হয়। ভাঙা এই অ্যাপ্রোচ সড়কের মেরামত জরুরি।
রঙ্গারচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এরশাদ মিয়া বলেন, এই সড়কটি এলজিইডির। অ্যাপ্রোচ সড়ক মেরামতে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে বলে মনে হয় না। এই ভাঙনের মেরামত জরুরি প্রয়োজন।
সদর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নৈগাং-হাসাউড়া সড়কের মেরামত কাজ যখন হবে, তখন এই দুই কালভার্ট সেতুর অ্যাপ্রোচের কাজও হবে। এই জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ অনুমোদন হলে শীঘ্রই মেরামত কাজ শুরু হবে।