1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না কৃষকের

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার ::
সার, বীজ, ডিজেল, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় বোরো আবাদ নিয়ে এমনিতেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সুনামগঞ্জের কয়েক লাখ কৃষক। তার ওপর নির্ধারিত সময়ে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় তারা আরও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
হাওরে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহে পুরোদমে শুরু হবে বোরো ধান রোপণের কাজ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আবহাওয়াও ভালো রয়েছে। তবে প্রতিবছরের মতো এবারও যথাসময়ে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় চিন্তিত কৃষকরা।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রি-ওয়ার্ক (সম্ভাব্যতা যাচাই) শেষ করে প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদন, ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু জেলার ১২ উপজেলায় মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মাত্র ১৯৩টি প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদিন মাত্র ৪০টি প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করা হয়।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৩৭টি হাওর রয়েছে। এসব হাওরের বাঁধের আয়তন প্রায় এক হাজার ৭১৮ কিলোমিটার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রায় ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭২৭টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে হাওরের বোরো ফসল রক্ষার জন্য বাঁধের নির্মাণকাজ স¤পন্ন করতে প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে পাউবো। গত অক্টোবর থেকে তাদের ২৭টি দল (সার্ভেয়ার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী) হাওরে গিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। এখনও প্রাক্কলনের কাজ চলছে।
এবার সুনামগঞ্জ জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর। বিগত মৌসুমের চেয়ে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গেলবার জেলার ১২ উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৬৬৫ হেক্টর। তবে চলতি মৌসুমে আমনের ভালো ফলন হওয়ায় বোরোর এই আবাদের লক্ষ্যমাত্রা জেলার ফসলের সামষ্টিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেখার হাওরপাড়ের কৃষক রইছ উদ্দিন বলেন, বরাবরের মতো এবারও নির্ধারিত সময়ে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়নি। বাঁধের কাজ দেরিতে শুরু হলেও শেষও দেরিতে হবে। ফলে আমাদের ফসল হুমকির মধ্যে থাকবে। এ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।
কৃষক আনোয়ার মিয়া বলেন, কৃষি উপকরণের পাশাপাশি শ্রমিকের মুজুরিও বেড়েছে। এছাড়া বাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। বাঁধের কাজ দ্রুত শুরু না হলে আমাদের ফসল হুমকির মধ্যে থাকবে। তাই হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধের কাজ দ্রুত শুরু করা উচিত।
সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরে পানি থাকার কারণে প্রি-ওয়ার্ক ও এস্টেমেট (প্রাক্কলন) করতে বিলম্ব হয়। এ কারণে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প গ্রহণ শেষ করে কাজ শুরু করতে দেরি হয়। তাছাড়া যে যন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে বাঁধে ফেলা হয় সে যন্ত্রও হাওরের মাটি ভেজা থাকায় নামানো যায় না। যে কারণে বিলম্ব হয়। তবে এখন পর্যন্তু ৪০ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও হাওরের বাঁধ ব্যবস্থাপনা জেলা কমিটির সভাপতি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানান, নির্ধারিত ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com