স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় নয়াহালট গ্রামের অন্তর গং নামে কিছু বখাটে কর্তৃক জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্সকে হত্যার হুমকি দেয়ায় ঐ স্টাফ নার্স কল্লোল চক্রবর্তী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জামালগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডি নং – ৬৮৮, তারিখ – ১৭/১২/২০২২ইং।
জিডির বিবরণে জানা যায়, বখাটে অন্তর গং দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিকটস্থ মেহেরুন্নেছা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করে আসছে। সম্প্রতি তারই আত্মীয় এক রোগী জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার দিন গত ১৭ ডিসেম্বর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আনুমানিক বেলা দুপুর ১টার সময় রোগীর শরীরে স্যালাইন চলমান ছিল। ঐ সময় সিনিয়র স্টাফ নার্স কল্লোল চক্রবর্তী কর্তব্যরত ছিলেন। সে সময় বখাটে অন্তর এসে ওই রোগীর শরীর থেকে স্যালাইন খুলে নিতে স্টাফ নার্সকে নির্দেশ করে। কিন্তু স্টাফ নার্স কমপ্লেক্সে রোগীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া স্যালাইন খুলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেরুন্নেছা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী অন্তর এবং মেহেরুন্নেছা ফার্মেসি ও মেহেরুন্নেছা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের ভাগ্নে হুমায়ুন নামক কতিপয় যুবক দলবল নিয়ে জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে ঢুকে স্টাফ নার্স কল্লোল চক্রবর্তীর উপর চড়াও হয় এবং মারমুখী অবস্থায় হাসপাতালের ভিতরে চিৎকার চেঁচামেচি উৎপাত শুরু করে। একপর্যায়ে হাসপাতালে উপস্থিত থাকা লোকজন তাদের নিবৃত্ত করেন। তখন তারা উচ্চস্বরে বলতে থাকে- ডাক্তার-নার্সের নিয়মে নয়, বরং তাদের কথামতই জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলবে। এক পর্যায়ে নার্স কল্লোল চক্রবর্তীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এছাড়াও হাসপাতাল থেকে রাস্তায় বের হলেই স্টাফ নার্স কল্লোল চক্রবর্তীকে দেখে নেবে এবং হাত-পা ভেঙে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে স্টাফ নার্স তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি অবগত করে জামালগঞ্জ থানায় জিডি করেন।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, জিডির বিষয়ে তদন্তের জন্য কোর্টের অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি পাবার পর তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।