স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের ডাকুয়ার হাওর ফসলরক্ষা বাঁধ সংস্কার ও মেরামত না করায় গত কয়েক বছর ধরে ফসল অরক্ষিত থাকছে। ২০১৭-২০১৮ সনে এই হাওরের মধ্য দিয়ে কাঠইর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও-গুলেরগাঁও পর্যন্ত ফসলরক্ষা বাঁধ সংস্কার ও মেরামত করা হলেও এখন আর সেখানে কাজ করছেনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ফলে দুটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার কৃষকের বোরো ফসল অরক্ষিত থাকছে। গত বছর মোহনপুর গ্রামের যুবকেরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধে মাটি দিয়ে হাওরটি রক্ষা করেছিলেন।
কৃষকরা জানান, ডাকুয়ার হাওরের মাঝ দিয়ে মোহনপুর-গুলেরগাঁও পর্যন্ত একটি বাঁধ রয়েছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে এই বাঁধটি সংস্কার ও মেরামত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে সুরক্ষিত থাকে ফসল। কিন্তু এরপর আর পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেনি। ফলে এই হাওরের উঁচু অংশ ও নিচু অংশের কৃষকরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকেন। এছাড়া এই হাওরের পানি নিষ্কাশন হয় নোয়াগাঁওয়ের খালের মুখ প্রভাবশালীরা ভরাট করে দখল করার কারণেও বৃষ্টির পানি আটকে থাকে। এতে ডোবরার পানিতে হাওরের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। তাই কৃষকরা বাঁধটি মেরামত ও সংস্কারের সঙ্গে খালটি খনন এবং খাল থেকে দখলদারদের উচ্ছেদসহ এবার বাঁধে প্রকল্প গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
মোহনপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতি বছর দুটি গ্রামের হাজারো কৃষক এই হাওরের ফসল রক্ষা নিয়ে উৎকণ্ঠিত থাকেন। এই সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আশরাফুল সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্টরা একাধিকবার আসেন। তারা প্রকল্পসহ ফসল রক্ষা বাঁধের আশ্বাস দেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এখানে প্রকল্প জমা দেওয়া হয় না। গত বছর আমাদের গ্রামের তরুণরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ দিয়ে ফসলরক্ষা করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আশরাফুল সিদ্দিকী বলেন, আমি প্রতি বছরই এই হাওরে যাই। ২০১৮ সনের পর আমরা বাঁধটি মেরামত ও সংস্কারে বরাদ্দ দিচ্ছি না। প্রতি বছর হাওরের উঁচু ও নিচু এলাকার কৃষকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। তাই এই উত্তেজনা প্রশমনে আমি এবার খালটি খননের প্রস্তাব করেছি। একই সঙ্গে বাঁধটিও মেরামত ও সংস্কার জরুরি।