স্টাফ রিপোর্টার ::
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।
জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ.জে.এম রেজাউল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরী বলেন, সমাজের প্রত্যেক নারীই জয়িতা। যার যার অবস্থান থেকে সবাই জয়িতা। তিনি বলেন, আগের জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য অসহায় মানুষকে সেবা দিতে ৪০ লাখ টাকার এফডিআর করে গেছেন। এটা সুফল সুনামগঞ্জবাসী ভোগ করবেন। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সবাই দেশের মানুষের উন্নয়নে করা উচিত। তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া শিশুদের শিক্ষায় এগিয়ে নিতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগণ ছাড়া সুষম উন্নয়ন সম্ভব নয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) রিপন কুমার মোদক, জেলা পরিষদ সদস্য ফৌজি আরা শাম্মী, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য্য, জাতীয় মহিলা সংস্থার সিনিয়র সদস্য সৈয়দা ফারহানা ইমা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পৌর কাউন্সিলর সামিনা চৌধুরী মনি, নারী নেত্রী মাজেদা বেগম, সাকেরা বেগম, নির্বাচিত জয়িতা নমিতা রানী সরকার, নাছিমা খাতুন, হামিদা খাতুন, মমতা রানী চন্দ, মিতারা আক্তার প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে ১০ জন নির্বাচিত জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কাজের অবদানের জন্য ৫ জনকে জয়িতা নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা হলেন-সুনামগঞ্জ শহরের জগন্নাথবাড়ি এলাকার বাসিন্দা হামিদা খাতুন। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করায় তিনি জয়িতা নির্বাচিত হন।
জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা মোছাম্মত সেলিনা বেগম জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। শিক্ষা ও চাকুরিতে তিনি সাফল্য অর্জন করেছেন।
দিরাই উপজেলার রফিনগর গ্রামের সফল জননী হিসাবে তিনি জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন বেগম হাজেরা হাশেম। নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করায় জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন মমতা রানী চন্দ। তাঁর বাড়ি জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা ইউনিয়নের সাচনা গ্রামে।
সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় মিতারা বেগম জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেক গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলা পর্যায়ে আরও ৫ জনকে জয়িতা নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জ শহরের জগন্নাথবাড়ি এলাকার বাসিন্দা হামিদা খাতুন। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করায় তিনি জয়িতা নির্বাচিত হন।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা নমিতা রানী সরকার। তিনি শিক্ষা ও চাকরিতে সাফল্য অর্জন করায় জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন।
সফল জননী হিসাবে দিপালী রানী তালুকদার জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার জয়নগর এলাকার পুরান শাখাইতি গ্রামের বাসিন্দা।
নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করায় জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন রীনা আক্তার। তিনি সুনামগঞ্জ পৌরসভার সরকারি মহিলা কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা।
সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় মোছাম্মত নাছিমা খাতুন জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের নতুন শাখাইতি গ্রামের বাসিন্দা।