1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শহরের ৭টি খাল দ্রুত উদ্ধারের দাবি

  • আপডেট সময় বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র প্রতিনিধি দল সুনামগঞ্জ শহরের ৭টি খাল পরিদর্শন করেছে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী শহরের বড়পাড়া খাল, তেঘরিয়া খাল, কামারখাল, বলাইখালী, ধোপাখালী, নলুয়াখালী ও গাবরখালী এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। এ ছাড়াও শহরের সোনাখালী ও কুরিয়ারপাড় এলাকার খাল পরিদর্শন করেন নেতৃবৃন্দ।
পরিদর্শনকালে বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা সামিরুন নেছা, ময়না মিয়া, আতাউর রহমান, রুনু মিয়া ও ছমির উদ্দিনের সাথে কথা বলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)র বিভাগীয় সমন্বয়কারী অ্যাড. শাহ সাহেদা আক্তার। তখন স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, যুগের পর যুগ খাল পরিত্যক্ত থাকায় খালের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা দখল করে নেওয়ায় সংকীর্ণ হয়েছে। খাল বছর বছর চিহ্নিতকরণ হলে অন্যের দখলে যেতোনা।
বেলা’র প্রতিনিধি দলকে তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল মিয়া, মো. তাজ উদ্দিন জানান, খালের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের দখলে যাওয়ার পর যতটুকু খাল রয়েছে, তাতে মশা, মাছি বংশবিস্তার করছে। খালে জন্ম নেয়া কচুরিপানা, ফেলে দেয়া ময়লা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে পৌরসভার নির্মিত ড্রেন খোলা থাকায় এলাকায় নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তারা আরও জানান, এসব খাল দিয়ে এক সময় নৌকা চলাচল করতো। এখন কোনো কোনো স্থানে খালের অবশিষ্ট জায়গার উপর পাকা সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ হয়েছে। খালের পুরো অংশ উদ্ধারের দাবি তাদের।
ষোলঘরের বলাইখাল এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল কাহার জানান, সুরমা নদী থেকে বেয়ে আসা বলাইখাল এখন মানুষ চলাচলের রাস্তা হয়েছে। খাল চিহ্নিত করে সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া খুবই জরুরি।
পরে ধোপাখালী, নলুয়াখালী, গাবরখালী, সোনাখালী প্রভৃতি এলাকা পরিদর্শন করে এই প্রতিনিধি দল।
পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)র বিভাগীয় সমন্বয়কারী অ্যাড. শাহ সাহেদা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সুনামগঞ্জ শহরের ৭ টি খালের তথ্য পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। খালের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেছি। অনেকে খাল উদ্ধারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সদরের ভূমি অফিসের কাছে শহরের মেইন সড়কের দক্ষিণ দিকেও একটি খাল ছিল বলে অনেকে বলেছেন। খালটি বিহারী পয়েন্ট হয়ে কুরিয়ারপাড় কালভার্ট ব্রিজ পর্যন্ত এসেছে। দেখা গেছে এই খালের উপর বেশ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। অনেকে এই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
এই প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলেন বেলা’র ফিল্ড অফিসার আল আমিন সর্দার।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com