শামস শামীম ::
হোসনে আরা (৫২) মুক্তযিুদ্ধে শহীদ র্কপােরাল আব্দুন নূর বীর প্রতীকরে একমাত্র সন্তান। তাঁর জন্মরে কছিুদনি পরইে মারা যান মা জহুরা বগেম। আব্দুন নূররে বাবা আশ্রব আলী এই খবর চঠিি লখিে পাকস্তিানরে শয়িালকোট ক্যান্টনমন্টেে র্কমরত সন্তানকে জানানোর পর তনি মাসরে একমাত্র সন্তানকে দখেতে ছুটে এসছেলিনে বাড়।ি সন্তানকে দখেভালরে জন্য আপন মামাতো বোনকে ছোট ভাইয়রে জন্য বউ করে নয়িে আসনে। তাদরে হাতে কন্যা সন্তানকে সপে দয়িে যান। তারপর যুদ্ধ শুরুর আগে আরকেবার দশেে ছুটে আসনে। তখন হোসনে আরার বয়স দড়ে বছর। ছুটতিে এসে খুব আদর করনে ময়েকে।ে ছুটতিে যে কয়দনি ছলিনে মায়রে মতো আদর করনে হোসনে আরাক।ে তারপর সইে যে প্রয়ি সন্তানরে কাছ থকেে বদিায় নয়িছেলিনে আর ফরিে আসনেন।ি যুদ্ধে শহীদ হয়ছেনে এই খবরও ২৫ বছর পর জানতে পারে পরবিার। দু’বাররে আদররে র্স্পশ ছাড়া বাবার সঙ্গে আর কোন স্মৃতি নইে হোসনে আরার। যোদ্ধা বাবা পাকস্তিান থকেে পালয়িে এসে বাংলাদশেকে হানাদারমুক্ত করার যুদ্ধ শহদি হয়ছেনে এটা তার কাছে সবচয়েে গৌরবরে।
সুনামগঞ্জরে মুুক্তযিুদ্ধরে ইতহিাসে বস্মিৃতপ্রায় অসম সাহসী সনৈকি শহীদ যোদ্ধা আব্দুন নূর বীরপ্রতীক। স্বাধীনতার পরও সন্তান ফরিে না আসায় ছলেরে জন্য কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে গয়িছেলিনে মা কনাই ববি।ি বাবা আশ্রব আলী অপ্রকৃতস্ত হয়ে মারা যান। সনোবাহনিীর গাড়ি দখেলইে বাবা ছুটে যতেনে সড়ক।ে বুক চতিয়িে দাঁড়য়িে জানতে চাইতনে প্রয়ি সন্তানরে কথা। এ কারণে র্দুঘটনার আশঙ্কায় তাকে মৃত্যুর আগ র্পযন্ত বঁেধে রাখতনে স্বজনরা। এই করুণ অবস্থায়ই মৃত্যু হয়ছেলি শহদিরে বাবার।
সুনামগঞ্জ সদর উপজলোর বাহাদুরপুর গ্রামরে আশ্রব আলী ও কনাই ববিি দম্পতরি ৫ সন্তানরে বড়ো সন্তান ছলিনে আব্দুন নূর। লম্বাটে একহাড়া গড়নরে আব্দুন নূর শশৈব থকেইে অসম সাহসী ছলিনে। পাকস্তিান সনোবাহনিীতে যোগ দনে যুদ্ধরে কয়কে বছর আগ।ে পাকস্তিানরে শয়িালকোটে ৫ম ইস্ট বঙ্গেলে যুক্ত ছলিনে তনি।ি সখোনে র্কপােরাল পদে দায়ত্বি পালন করছলিনে। মাতৃভূমতিে পাকস্তিানি জল্লাদদরে নারকীয়তার খবর পয়েে তনিি শয়িালকোট থকেে জীবনবাজি রখেে দশেে পালয়িে আসনে। যুদ্ধে অংশ ননে ২ নং সক্টেররে ৯ম ইস্ট বঙ্গেল।ে এই সক্টেররে ব্রাহ্মণবাড়য়িা জলোর কসবা থানার চন্দ্রপুর যুদ্ধে ২২ নভম্বের সম্মুখযুদ্ধে শহদি হন তনি।ি তাঁর লাশ খুঁজে পাওয়া যায়ন।ি ২০১৪ সনে বাংলাদশে সনোবাহনিীর মুক্তযিোদ্ধার সংশোধতি গজেটেে তার ক্রমকি নং উল্লখে রয়ছেে ৩৬২, ব্যক্তগিত নম্বর ৩৯৩৪৪০৪, পদবী র্কপােরাল। তবে এই গজেটেে তার গ্রামরে নাম বাহাদুরপুররে বদলে আব্দুল্লাহপুর উল্লখে রয়ছে।ে এছাড়াও সনোবাহনিীর বশিষে গজেটেে ৬১ নং ক্রমকিে শহদি আব্দুন নূররে নাম রয়ছে।েআদরের স্পর্শ ছাড়া বাবার কোন স্মৃতি নেই শহীদ সন্তান হোসনে আরার
শামস শামীম ::
হোসনে আরা (৫২) মুক্তিযুদ্ধে শহীদ কর্পোরাল আব্দুন নূর বীর প্রতীকের একমাত্র সন্তান। তাঁর জন্মের কিছুদিন পরেই মারা যান মা জহুরা বেগম। আব্দুন নূরের বাবা আশ্রব আলী এই খবর চিঠি লিখে পাকিস্তানের শিয়ালকোট ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত সন্তানকে জানানোর পর তিন মাসের একমাত্র সন্তানকে দেখতে ছুটে এসেছিলেন বাড়ি। সন্তানকে দেখভালের জন্য আপন মামাতো বোনকে ছোট ভাইয়ের জন্য বউ করে নিয়ে আসেন। তাদের হাতে কন্যা সন্তানকে সপে দিয়ে যান। তারপর যুদ্ধ শুরুর আগে আরেকবার দেশে ছুটে আসেন। তখন হোসনে আরার বয়স দেড় বছর। ছুটিতে এসে খুব আদর করেন মেয়েকে। ছুটিতে যে কয়দিন ছিলেন মায়ের মতো আদর করেন হোসনে আরাকে। তারপর সেই যে প্রিয় সন্তানের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন আর ফিরে আসেননি। যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন এই খবরও ২৫ বছর পর জানতে পারে পরিবার। দু’বারের আদরের স্পর্শ ছাড়া বাবার সঙ্গে আর কোন স্মৃতি নেই হোসনে আরার। যোদ্ধা বাবা পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশকে হানাদারমুক্ত করার যুদ্ধ শহিদ হয়েছেন এটা তার কাছে সবচেয়ে গৌরবের।
সুনামগঞ্জের মুুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিস্মৃতপ্রায় অসম সাহসী সৈনিক শহীদ যোদ্ধা আব্দুন নূর বীরপ্রতীক। স্বাধীনতার পরও সন্তান ফিরে না আসায় ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন মা কনাই বিবি। বাবা আশ্রব আলী অপ্রকৃতস্ত হয়ে মারা যান। সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখলেই বাবা ছুটে যেতেন সড়কে। বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে জানতে চাইতেন প্রিয় সন্তানের কথা। এ কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বেঁধে রাখতেন স্বজনরা। এই করুণ অবস্থায়ই মৃত্যু হয়েছিল শহিদের বাবার।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আশ্রব আলী ও কনাই বিবি দম্পতির ৫ সন্তানের বড়ো সন্তান ছিলেন আব্দুন নূর। লম্বাটে একহাড়া গড়নের আব্দুন নূর শৈশব থেকেই অসম সাহসী ছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন যুদ্ধের কয়েক বছর আগে। পাকিস্তানের শিয়ালকোটে ৫ম ইস্ট বেঙ্গলে যুক্ত ছিলেন তিনি। সেখানে কর্পোরাল পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মাতৃভূমিতে পাকিস্তানি জল্লাদদের নারকীয়তার খবর পেয়ে তিনি শিয়ালকোট থেকে জীবনবাজি রেখে দেশে পালিয়ে আসেন। যুদ্ধে অংশ নেন ২ নং সেক্টরের ৯ম ইস্ট বেঙ্গলে। এই সেক্টরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার চন্দ্রপুর যুদ্ধে ২২ নভেম্বর সম্মুখযুদ্ধে শহিদ হন তিনি। তাঁর লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধার সংশোধিত গেজেটে তার ক্রমিক নং উল্লেখ রয়েছে ৩৬২, ব্যক্তিগত নম্বর ৩৯৩৪৪০৪, পদবী কর্পোরাল। তবে এই গেজেটে তার গ্রামের নাম বাহাদুরপুরের বদলে আব্দুল্লাহপুর উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর বিশেষ গেজেটে ৬১ নং ক্রমিকে শহিদ আব্দুন নূরের নাম রয়েছে।
শহিদ সন্তান হোসনে আরা জানান, তার মা জহুরা বেগম তিন মাস বয়সের সময় মারা যান। স্ত্রী মারা যাবার খবর পরিবার থেকে চিঠি লিখে শিয়ালকোটে জানানো হয় আব্দুন নূরকে। তিনি ছুটি আসেন মাতৃহারা শিশু সন্তানকে দেখতে। মেয়েকে বাবা ও মায়ের জিম্মায় রেখে আবার কর্মস্থলে চলে যান। যে কয়দিন ছিলেন মায়ের মতো আদর করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কিছুদিন আগে আবারও তাকে দেখতে দেশে আসেন। হোসনে আরা তখন হাঁটতে শিখেছেন। দ্বিতীয়বার দেশে এসে আব্দুন নূর তার ছোট ভাইয়ের জন্য আপন মামাতো বোনকে বউ করে নিয়ে আসেন। তাদের হাতে সপে দিয়ে যান সন্তানকে। হতদরিদ্র বাবা আশ্রব আলী ও মা কনাই বিবিও প্রিয় নাতনিকে দেখভাল করতেন। সেই যে শেষ ফিরে গিয়েছিলেন আর আসেননি আব্দুন নূর। যুদ্ধ শেষে তিনি বেঁচে আছেন কি না সেই খবরও জানতেন না। তবে খবর পেয়েছিলেন শিয়ালকোট থেকে পালিয়ে এসে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে মরণপণ যুদ্ধে নেমেছেন।
হোসনে আরা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থের সূত্রে জানান, ১৯৭১ সনের ২২ নভেম্বর ভোরে ভারতীয় মেজর তুলির অপরিকল্পিত পরিকল্পনায় যুদ্ধ শুরু হলে নাস্তানাবুদ হতে থাকে ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী। শহিদ হন আব্দুন নূরসহ ২২ জন। আহত হন আরো ৩৪ জন। মিত্রবাহিনীর ১৬৪ জন সৈন্য হতাহত হয়। আহত ও নিহত সৈনিকদের বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মনের জ্বালা মিটায় হানাদাররা। আব্দুন নূরসহ অন্যান্য শহীদ যোদ্ধাদের মৃতদেহ নিতে এসে ২৩ নভেম্বর আবারও আক্রমণের মুখে পড়ে মুক্তিবাহিনী। এতে আবারও হতাহত হন তারা। তবে মাত্র ৮ জন মুক্তিযোদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারলেও অন্যদের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই আব্দুন নূরের মৃতদেহও উদ্ধার করাও সম্ভব হয়নি। তাই কোথায় আব্দুন নূরসহ অন্যান্য শহীদদের সমাধি হয়েছে জানেনা কেউ।
সুনামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবু সুফিয়ান জানান, জুন-জুলাইয়ের দিকে শিয়ালকোট থেকে পালিয়েছিলেন আব্দুন নূর। অক্টোবর মাসে তার বাড়িতে হানাদার সৈনিকরা এসে খোঁজ করেছিল। মানসিক নির্যাতন করেছিল মা বাবাসহ স্বজনদের। পাকিস্তানি সৈনিকরা বাড়ি এসে তল্লাশি ও নির্যাতন করায় মা বাবা বুঝতে পারেন তাদের সন্তান যুদ্ধে গেছে। আর কিছু জানতেন না তারা। স্বাধীনতার ২৫ বছর পর তিনি যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন জানতে পারেন স্বজনরা। তখন তার বাবা ও মা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। সুনামগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে শহীদ আব্দুন নূরের আত্মদান নতুন প্রজন্ম জানে না। তার সাহস পরবর্তী প্রজন্মকে জানানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে জানান আবু সুফিয়ান।
শহীদ আব্দুন নূরের মামাতো ভাই আরব আলী মাস্টার বলেন, দেশ স্বাধীন করে সন্তান ফিরে আসবে এই ভাবনায় দিন গুণতে থাকেন আব্দুন নূরের বাবা ও মা। কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। এই চিন্তায় মা কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। বাবা পুরোদমে অপ্রকৃতস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর তিনি পুলিশ ও সৈনিকের গাড়ি দেখলেই গাড়ির আগে দাঁড়িয়ে পড়তেন। প্রিয় সন্তানের খোঁজ জানতে চাইতেন। একসময় সন্তানের চিন্তায় তিনি পুরোদস্তর অপ্রকৃতস্থ হয়ে যান। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বাড়িতে বেঁধে রাখা হতো তাকে। এই অবস্থাতেই সন্তানের অপেক্ষা করে মারা যান বাবা। মাও কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল শুকিয়ে মারা যান।
আরব আলী মাস্টার আরো জানান, আব্দুন নূরের মা ও বাবা মারা যাবার পর চাচারা হোসনে আরাকে বড়ো করে আব্দুন নূরের আপন বোনের হতদরিদ্র ছেলে বুরহান উদ্দিনের কাছে বিয়ে দেন। ১৩ বছর আগে হোসনে আরার স্বামীও মারা গেছেন। এখন একমাত্র কন্যা মুসলিমাকে নিয়ে ছোট একটি ঘরে বসবাস করেন তিনি। বাবার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিয়েই সংসারের ব্যয় নির্বাহ করেন স্বামীহারা হোসনে আরা।
হোসনে আরাও জানান, তার দাদা ও চাচারা তাকে নিয়ে চট্টগ্রাম ঢাকাসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থানে বাবার খুঁজে গিয়েছেন। কেউ খোঁজ দিতে পারেনি। দাদা ও দাদী মারা যাবার ২৫ বছর পর সিলেট ক্যান্টনমেন্ট থেকে একটি চিঠি আসে গ্রামের বাড়িতে। ২০৮/১ নং স্মারকের ওই চিঠিতে জানানো হয় মহান মুক্তিযুদ্ধে আব্দুন নূর শহীদ হয়েছেন। এরপর থেকেই পরিবার জানতে পারেন। তার বাবার একটি ছবি সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘরের মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে স্থাপন করা হয়েছে। স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে তাঁকে স্মরণ করা হয় সরকারিভাবে। এতে গর্ববোধ করেন হোসনে আরা।
হোসনে আরা বলেন, তিন মাস বয়স ও দেড় বছর বয়সে দু’বার বাবার স্পর্শ পেয়েছিলাম। এই স্পর্শ ছাড়া আর কোন স্মৃতি আমার নেই। তবে আমার বাবা পাকিস্তানিদের কবল থেকে পালিয়ে এসে দেশ স্বাধীন করে শহীদ হয়েছেন এতে আমি গর্ববোধ করি। আমার বাবার স্মৃতির রক্ষায় সুনামগঞ্জে কোন স্থাপনা করা উচিত। তিনি আরো বলেন, এখনো অভাব অনটন আমার নিত্যসঙ্গী। সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে ঘর বানিয়ে দিচ্ছে সেটা পেলে আমার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে মাথাগোঁজার ঠাঁই পেতাম।
শহদি সন্তান হোসনে আরা জানান, তার মা জহুরা বগেম তনি মাস বয়সরে সময় মারা যান। স্ত্রী মারা যাবার খবর পরবিার থকেে চঠিি লখিে শয়িালকোটে জানানো হয় আব্দুন নূরক।ে তনিি ছুটি আসনে মাতৃহারা শশিু সন্তানকে দখেত।ে ময়েকেে বাবা ও মায়রে জম্মিায় রখেে আবার র্কমস্থলে চলে যান। যে কয়দনি ছলিনে মায়রে মতো আদর করছেনে। মুক্তযিুদ্ধ শুরুর কছিুদনি আগে আবারও তাকে দখেতে দশেে আসনে। হোসনে আরা তখন হাঁটতে শখিছেনে। দ্বতিীয়বার দশেে এসে আব্দুন নূর তার ছোট ভাইয়রে জন্য আপন মামাতো বোনকে বউ করে নয়িে আসনে। তাদরে হাতে সপে দয়িে যান সন্তানক।ে হতদরদ্রি বাবা আশ্রব আলী ও মা কনাই ববিওি প্রয়ি নাতনকিে দখেভাল করতনে। সইে যে শষে ফরিে গয়িছেলিনে আর আসনেনি আব্দুন নূর। যুদ্ধ শষেে তনিি বঁেচে আছনে কি না সইে খবরও জানতনে না। তবে খবর পয়েছেলিনে শয়িালকোট থকেে পালয়িে এসে যুদ্ধে অংশ নয়িছেনে। বাংলাদশেকে স্বাধীন করতে মরণপণ যুদ্ধে নমেছেনে।
হোসনে আরা বভিন্নি সময়ে প্রকাশতি মুক্তযিুদ্ধ বষিয়ক গ্রন্থরে সূত্রে জানান, ১৯৭১ সনরে ২২ নভম্বের ভোরে ভারতীয় মজের তুলরি অপরকিল্পতি পরকিল্পনায় যুদ্ধ শুরু হলে নাস্তানাবুদ হতে থাকে ভারতীয় মত্রিবাহনিী ও মুক্তবিাহনিী। শহদি হন আব্দুন নূরসহ ২২ জন। আহত হন আরো ৩৪ জন। মত্রিবাহনিীর ১৬৪ জন সন্যৈ হতাহত হয়। আহত ও নহিত সনৈকিদরে বয়েনটে দয়িে খুঁচয়িে মনরে জ্বালা মটিায় হানাদাররা। আব্দুন নূরসহ অন্যান্য শহীদ যোদ্ধাদরে মৃতদহে নতিে এসে ২৩ নভম্বের আবারও আক্রমণরে মুখে পড়ে মুক্তবিাহনিী। এতে আবারও হতাহত হন তারা। তবে মাত্র ৮ জন মুক্তযিোদ্ধার মৃতদহে উদ্ধার করতে পারলওে অন্যদরে লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়ন।ি তাই আব্দুন নূররে মৃতদহেও উদ্ধার করাও সম্ভব হয়ন।ি তাই কোথায় আব্দুন নূরসহ অন্যান্য শহীদদরে সমাধি হয়ছেে জাননো কউে।
সুনামগঞ্জ মুক্তযিোদ্ধা সংসদরে সাবকে ডপেুটি কমান্ডার আবু সুফয়িান জানান, জুন-জুলাইয়রে দকিে শয়িালকোট থকেে পালয়িছেলিনে আব্দুন নূর। অক্টোবর মাসে তার বাড়তিে হানাদার সনৈকিরা এসে খােঁজ করছেলি। মানসকি নর্যিাতন করছেলি মা বাবাসহ স্বজনদরে। পাকস্তিানি সনৈকিরা বাড়ি এসে তল্লাশি ও নর্যিাতন করায় মা বাবা বুঝতে পারনে তাদরে সন্তান যুদ্ধে গছে।ে আর কছিু জানতনে না তারা। স্বাধীনতার ২৫ বছর পর তনিি যুদ্ধে শহীদ হয়ছেনে জানতে পারনে স্বজনরা। তখন তার বাবা ও মা দুনয়িা থকেে বদিায় নয়িছেনে। সুনামগঞ্জরে মুক্তযিুদ্ধরে ইতহিাসে শহীদ আব্দুন নূররে আত্মদান নতুন প্রজন্ম জানে না। তার সাহস পরর্বতী প্রজন্মকে জানানোর উদ্যোগ নওেয়া উচতি বলে জানান আবু সুফয়িান।
শহীদ আব্দুন নূররে মামাতো ভাই আরব আলী মাস্টার বলনে, দশে স্বাধীন করে সন্তান ফরিে আসবে এই ভাবনায় দনি গুণতে থাকনে আব্দুন নূররে বাবা ও মা। কন্তিু তনিি আর ফরিে আসনেন।ি এই চন্তিায় মা কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে গয়িছেলিনে। বাবা পুরোদমে অপ্রকৃতস্ত হয়ে গয়িছেলিনে। তারপর তনিি পুলশি ও সনৈকিরে গাড়ি দখেলইে গাড়রি আগে দাঁড়য়িে পড়তনে। প্রয়ি সন্তানরে খোঁজ জানতে চাইতনে। একসময় সন্তানরে চন্তিায় তনিি পুরোদস্তর অপ্রকৃতস্থ হয়ে যান। তাই র্দুঘটনার আশঙ্কায় বাড়তিে বঁেধে রাখা হতো তাক।ে এই অবস্থাতইে সন্তানরে অপক্ষো করে মারা যান বাবা। মাও কাঁদতে কাঁদতে চোখরে জল শুকয়িে মারা যান।
আরব আলী মাস্টার আরো জানান, আব্দুন নূররে মা ও বাবা মারা যাবার পর চাচারা হোসনে আরাকে বড়ো করে আব্দুন নূররে আপন বোনরে হতদরদ্রি ছলেে বুরহান উদ্দনিরে কাছে বয়িে দনে। ১৩ বছর আগে হোসনে আরার স্বামীও মারা গছেনে। এখন একমাত্র কন্যা মুসলমিাকে নয়িে ছোট একটি ঘরে বসবাস করনে তনি।ি বাবার বীর মুক্তযিোদ্ধা ভাতা দয়িইে সংসাররে ব্যয় নর্বিাহ করনে স্বামীহারা হোসনে আরা।
হোসনে আরাও জানান, তার দাদা ও চাচারা তাকে নয়িে চট্টগ্রাম ঢাকাসহ সনোবাহনিীর বভিন্নি স্থানে বাবার খুঁজে গয়িছেনে। কউে খোঁজ দতিে পারনে।ি দাদা ও দাদী মারা যাবার ২৫ বছর পর সলিটে ক্যান্টনমন্টে থকেে একটি চঠিি আসে গ্রামরে বাড়তি।ে ২০৮/১ নং স্মারকরে ওই চঠিতিে জানানো হয় মহান মুক্তযিুদ্ধে আব্দুন নূর শহীদ হয়ছেনে। এরপর থকেইে পরবিার জানতে পারনে। তার বাবার একটি ছবি সুনামগঞ্জ ঐতহ্যি জাদুঘররে মুক্তযিুদ্ধ র্কনারে স্থাপন করা হয়ছে।ে স্বাধীনতা ও বজিয় দবিসে তাঁকে স্মরণ করা হয় সরকারভিাব।ে এতে র্গববোধ করনে হোসনে আরা।
হোসনে আরা বলনে, তনি মাস বয়স ও দড়ে বছর বয়সে দু’বার বাবার র্স্পশ পয়েছেলিাম। এই র্স্পশ ছাড়া আর কোন স্মৃতি আমার নইে। তবে আমার বাবা পাকস্তিানদিরে কবল থকেে পালয়িে এসে দশে স্বাধীন করে শহীদ হয়ছেনে এতে আমি র্গববোধ কর।ি আমার বাবার স্মৃতরি রক্ষায় সুনামগঞ্জে কোন স্থাপনা করা উচতি। তনিি আরো বলনে, এখনো অভাব অনটন আমার নত্যিসঙ্গী। সরকার বীর মুক্তযিোদ্ধাদরে যে ঘর বানয়িে দচ্ছিে সটো পলেে আমার একমাত্র ময়েকেে নয়িে মাথাগােঁজার ঠাঁই পতোম।