স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী কুস্তিখেলায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা। রোববার বিকেলে সুনামগঞ্জ স্টেডিয়ামে উৎসবমুখর পরিবেশে হাজারো ‘তামিশকির’ (দর্শক) ঐতিহ্যবাহী কুস্তিখেইড় উপভোগ করেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দৈনিক সুনামকণ্ঠের সম্পাদকম-লীর সভাপতি মো. জিয়াউল হকের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় চ্যাম্পিয়ন দল, রানার্স আপ এবং শ্রেষ্ঠ মালকে (কুস্তিগীর) নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মকসুদ চৌধুরী।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ ও কুস্তি আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল নোমানের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মকসুদ চৌধুরী, কুস্তি আয়োজক কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দৈনিক সুনামকণ্ঠের সম্পাদকম-লীর সভাপতি মো. জিয়াউল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি সিরাজুর রহমান সিরাজ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ইশতিয়াক শামীম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর হোসেন আহমদ রাসেল প্রমুখ।
গত শনিবার জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে সুনামগঞ্জ স্টেডিয়ামে সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জ ও জামালগঞ্জ উপজেলার ৫০ জন কুস্তিগীরকে নিয়ে আন্তঃউপজেলা কুস্তি প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রথম দিনের খেলায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা শান্তিগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলাকে পরাজিত করে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। রোববার বিকেলে বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ২০ জন কুস্তিগীরদের নিয়ে শুরু হয় ফাইনাল খেলা। খেলায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ২ জন কুস্তিগীর বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৩ জন কুস্তিগীরকে পরাজিত করেন। বাকি কুস্তিগীরদের খেলা সমান সমান হয়। ফাইনাল কুস্তিখেলা দেখতে স্টেডিয়ামে বিপুল দর্শক উপস্থিত হন।
খেলা শেষে জেলা ক্রীড়া সংস্থা খেলোয়াড়দের হাতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ ট্রফি তুলে দেন। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী বিজয়ী দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে মেডেলসহ শ্রেষ্ঠ কুস্তিমাল কামরুলকে ২০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়।