দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দারিদ্র্যতাকে জয় করে জিপিএ-৫ পেয়েছে অনিক দাস। অদম্য এই মেধাবী দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের দিনমজুর অনুকূল দাসের পুত্র।
অনিক দাস এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে আমবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার এই কৃতিত্বে শিক্ষক অভিভাবক সকলেই খুশি।
অনুকূল দাসের সংসারে স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান। এক সন্তান শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি রেস্টুরেন্টে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্তমানে সিলেটের ভোলাগঞ্জে শ্রমিকের কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালান। অভাব তাঁর পরিবারের নিত্যসঙ্গী।
মেধাবী অনিক দাস জানায়, অভাব-অনটনের মাঝেও বাবা লেখাপড়া করিয়েছেন। ভবিষ্যতে একজন চিকিৎসক হয়ে এলাকার দরিদ্র মানুষদের সেবা করতে চাই। মা-বাবা আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকেরা আমার পাশে ছিলেন। সকলের দোয়া ও আশীর্বাদে আমি ভালো ফলাফল করেছি। আমি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চাই।
তার বাবা অনুকূল দাস এবং মা দেবারানী দাস জানান, তাঁদের পুত্র লেখাপড়ার বাইরে অন্য কোনো আবদার করেনি। অভাবের সংসারে তার অনেক শখ পূরণ করতে পারেননি। ছেলের এই ফলাফলে আমরা খুশি। ছেলের জন্য সকলের কাছে দোয়া-আশীর্বাদ কামনা করছি।
আমবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান আহম্মদ বলেন, দারিদ্র্যতাকে জয় করে অনিকের এই সাফল্যে আমরা খুবই আনন্দিত। দোয়ারাবাজার উপজেলার পিছিয়ে পড়া একটা এলাকা। এখান থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করা মোটেই সহজ নয়। আমরা শিক্ষকেরা সব সময় তার পাশে ছিলাম। তার ভবিষ্যৎ জীবনের সফলতা কামনা করছি।