স্টাফ রিপোর্টার ::
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সার্বিকভাবে দেশের পরিস্থিতি ভালো। রেমিট্যান্স বেড়েছে, আমদানি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি কমেছে। আমরা ভালো আছি। আমাদের জমিতে ধান, খেতে সবজি আছে। পুকুরে মাছ, গোয়ালে গরু আছে।
শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে দুই দিনব্যাপী কুস্তি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় জেলার পাঁচটি উপজেলা দল অংশ নেয়।
বাংলাদেশের অর্থনীতি আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ স্বাভাবিক হতে পারে বলে মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, আপনারা পত্র-পত্রিকায় সংবাদ করেছেন রেমিট্যান্স বেড়েছে, এক্সপোর্ট বেড়েছে, ধীরে ধীরে পা টিপে টিপে বাংলাদেশ আবার আগের জায়গায় আসবে। আমি মনেকরি আগামী বছরের মার্চ এপ্রিল নাগাদ তা পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবে। তবে এটি আমার ধারণা যেহেতু আমি একটি মন্ত্রণালয়ে কাজ করি তাই কিছুটা হলেও বলতে পারব আমাদের ভয়ের কোন কারণ নেই।
মন্ত্রী এম এ মান্নান আরও বলেন, বিশ্ব মোড়লদের যন্ত্রণায় আমরাসহ অনেকেই বিপাকে পড়েছি। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এই সংকট থাকবে না। আমি প-িত বা গণক নই। তবে বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিয়ে বলছি, মার্চ-এপ্রিলে সবকিছু নরমাল হয়ে যাবে।
অপচয় কমানোর আহ্বান জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, টাকা থাকলেই খরচ করতে হবে – এমনটা নয়। অপচয় বন্ধ করতে হবে। খরচ করতে সাবধানী হতে হবে।
গুজবে কান দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, সবকিছু যাবে – কত কী গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। কিন্তু কোনোটাই হয়নি। মানুষ শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখেছে। মানুষ শান্তি চায়, উন্নয়ন চায় – শেখ হাসিনা সেটা দিয়েছেন। আমরা পারি, এটা প্রমাণিত।
এই সরকারের মূলনীতি বাঙালিত্ব বলে মন্তব্য করেন এম এ মান্নান। তিনি বলেন, সবকিছুতে বাঙালিয়ানা ও বাঙালিত্ব আমাদের রাজনীতির মূল দর্শন। বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিটি বিষয়ে আমাদের সরকারপ্রধান আগ্রহী। সরকারের প্রতিটি কাজে তাই গ্রামবাংলা অগ্রাধিকার পায়। একই সঙ্গে আমরা আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাঁটছি।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও কুস্তি প্রতিযোগিতা কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল নোমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী প্রমুখ।
কুস্তি প্রতিযোগিতায় সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি দল অংশগ্রহণ করছে। আজ রোববার ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।