স্টাফ রিপোর্টার ::
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শহরের শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। তখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন অতিথিবৃন্দ। হঠাৎ করে বক্তব্য রাখার আগ্রহ প্রকাশ করলেন মঞ্চের সামনে বসা শারীরিক প্রতিবন্ধী ফখরুল ইসলাম সেনেল। সাথে সাথে তাকে মাইক্রোফোন এগিয়ে দেওয়া হলো। মাইক্রোফোন ধরে রাখলেন একজনে। বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। ফখরুল তার বক্তব্যে বলেন, “আমি এমন মানবিক জেলা প্রশাসক দেখিনি। জেলা প্রশাসক মহোদয় সকল প্রতিবন্ধীদের আদর করে বুকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন। তিনি বুঝতেন আমাদের দুঃখ বেদনা। আমাদের দুঃখের সাথী ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন স্যার। আমাদের পিতা মাতার মতো ¯েœহ ভালবাসা দিয়েছেন তিনি। অতীতে আমরা এতো ভালবাসা পাইনি। আমাদের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি। আমরা স্যারকে জীবনেও ভুলতে পারবো না।”
তখন মঞ্চ থেকে অতিথিবৃন্দ নেমে এসে ফখরুল ইসলামের পাশে দাঁড়ান। জেলা প্রশাসক ও অন্যান্য অতিথিরা তার মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত¡না দিয়ে কান্না থামান। এ সময় অশ্রুসিক্ত আবেগ-আপ্লুত হন জেলা প্রশাসক ও অন্যান্য অতিথিসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই।
পরে ফখরুলের নাম পরিচয় জানলেন জেলা প্রশাসক। শারীরিক প্রতিবন্ধী ফখরুল ইসলাম সেনেলের বাড়ি শহরতলির ইব্রাহীমপুর গ্রামে।