স্টাফ রিপোর্টার ::
আমন ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। তবে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন সংলগ্ন দেখার হাওরে পানি সংকটের কারণে বোরো চাষের শুরুতেই হতাশায় রয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিনে মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, চলতি বছর আমন ধানের ফলন ভাল হলেও এ বছর শত শত হেক্টর বোরো জমি পানি সংকটের কারণে পতিত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
লালপুর গ্রামের কৃষক হাফেজ মাওলানা ফেদাউর রহমান বলেন, গ্রামের মহাজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে টাকা নিয়ে ৬ কেদার জমিতে আমন আবাদ করেছি। ফলন ভাল হলেও বাজারে ধানের দর ভালো পাওয়া না গেলে কিভাবে দেনা পরিশোধ করবো? তিনি আরও বলেন, সংসারের ভরণ-পোষণ ও ছেলে মেয়ের লেখা-পড়ার খরচ কি ভাবে চালবো তা ভেবে পাচ্ছিনা। এদিকে দেখার হাওরে আমাদের একমাত্র বোরো জমি পানি সংকটের কারণে পতিত থাকবে বলে মনে হচ্ছে। এ ব্যাপারে কৃষি অধিদপ্তর দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আমাদের মতো অসংখ্য কৃষকের জমি অনবাদি রয়ে যাবে।
স্থানীয় কৃষক উকিল মিয়া ও মনির উদ্দিন বলেন, শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় অধিক মজুরি দিয়ে জমিতে চাষ দেওয়া ও বোরো ফসলের চারা রোপণ করেছি। রোপণ করার আগে যদি দেখতাম পানি সংকট তাহলে ৪শত টাকা দামের বীজ এনে রোপণ করতাম না। আমার মতো শত শত কৃষক বোরো ফসল নিয়ে দিন রাত দুশ্চিন্তায় আছেন। অপরদিকে, সারের মূল্য বৃদ্ধি না হলেও জমি চাষাবাদ কীটনাশক, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মূল্য বেড়েই চলছে। ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, শুনেছি দেখার হাওরের পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। এতে করে বোরো ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।