1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

এবার জেলা আ.লীগের সম্মেলন স্থগিত

  • আপডেট সময় শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার ::
উপজেলা সম্মেলন শেষ না করেই সুনামগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামী ১১ ডিসেম্বর সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু অল্প সময়ে হঠাৎ জেলা সম্মেলনের ঘোষণায় সম্মেলন নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। অবশেষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে ‘জেলার সকল সাংগঠনিক ইউনিটে সম্মেলন শেষ না করে’ জেলা সম্মেলন করা যাবেনা বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্দেশনায় সম্মেলন স্থগিত হওয়ার কথা জানান। যার ফলে আগামী ১১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে না।
জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, জেলার তিনটি উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও ৫টি উপজেলায় একজন এমপি ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় দ্বন্দ্বের কারণে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সম্মেলন স্থগিত করা হয়। স্থগিত উপজেলাগুলোতে সম্মেলন সম্পন্ন না করেই জেলা সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা। স্থগিত সাংগঠনিক ইউনিটগুলোতে সম্মেলন সম্পন্ন করে জেলা সম্মেলন হলে অনেক নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসতো বলে মনে করছেন তারা।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও একাধিক মাঠ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন ১০টি উপজেলায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন। ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী গত ১৪ নভেম্বর দিরাই, ১৫ নভেম্বর শান্তিগঞ্জ ও ১৬ নভেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হয়। এছাড়া ১৭ নভেম্বর সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, ১৮ নভেম্বর তাহিরপুর, ১৯ নভেম্বর ধর্মপাশা, ২০ নভেম্বর দোয়ারাবাজার, ২১ নভেম্বর ছাতকে, শাল্লা উপজেলায় ১ ডিসেম্বর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ২ ডিসেম্বর সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতৃত্বপ্রত্যাশীরা সরব হয়ে ওঠেন। মাঠে গিয়ে তৃণমূলে প্রচারণার পাশাপাশি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও দেখা করে প্রত্যাশার কথা জানান। গত ১৪ ডিসেম্বর দিরাই উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে সম্মেলন শুরু হলে হঠাৎ গত উপজেলা ও পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী দুই নেতার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতাদের মঞ্চে রেখে সংঘর্ষের ঘটনা আলোচনার জন্ম দেয়। বিদ্রোহীরা দ্রুত হামলা করে সম্মেলন এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পর সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রঞ্জন রায়কে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আহমদ হোসেন। এ ঘটনার পর শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেণ সম্পন্ন হয়।
শান্তিগঞ্জে গত ১৫ নভেম্বর সম্মেলনের দিনে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলে তার নির্বাচনী এলাকায় সম্মেলন পিছিয়ে দিতে লিখিত আবেদন করেন। অন্যদিকে ছাতক-দোয়ারা এলাকার আওয়ামী লীগের একাংশ সম্মেলন পিছিয়ে দিতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেন। পরে কেন্দ্র এগুলো স্থগিত রেখেই জেলা সম্মেলনের নির্দেশনা দেন।
ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ বলেন, জামায়াত, বিএনপি, হাইব্রিড দিয়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সবগুলো উপজেলায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের কমিটি করা হয়েছে অতীতে। হেফাজতের সময়ে তারা প্রকৃত আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগকে নাজেহাল করেছেন। নতুন সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলে তৃণমূলের বঞ্চিত, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু যারা অতীতে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় তারা খুশি হয়েছে। ঘোষিত সময়ে কমিটি হলে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শনে বিশ্বাসীরা দলের হাল ধরতেন। এতে রাজপথে শক্তিশালী হতো আওয়ামী লীগ এবং তৃণমূলে সংগঠন শক্ত হতো।
ছাতক পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ মজনু বলেন, আমাদের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর তৃণমূলের নেতৃত্বপ্রত্যাশীরা উজ্জীবিত হয়েছিলেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জেগে ওঠেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণায় তারা থমকে গেছেন। তারা খুবই হতাশ ও মর্মাহত। দল শক্তিশালী করে আগামীদিনের রাজপথ ধরে রাখতে নতুন কমিটির বিকল্প নেই।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বলেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি সাহেবের আবেদনের কারণে কেন্দ্র তিনটি উপজেলায় সম্মেলন স্থগিত করে। ছাতক ও দোয়ারা উপজেলায় সম্মেলন নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ার কারণেও কেন্দ্র সম্মেলন স্থগিত করে। আগামী ১১ ডিসেম্বর জেলা সম্মেলন করার কেন্দ্রীয় ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এখন কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে জেলা কমিটির আগে সকল সাংগঠনিক ইউনিটে সম্মেলন শেষ করতে হবে। তাই জেলা সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com