গত সোমবারের (২৮ নভেম্বর ২০২২) সুনামকণ্ঠের সংবাদ শিরোনামগুলো এক নিঃশ^াসে পড়ে নিলে মনটা ভালো হয়ে উঠার কোনও কারণ উপজিত হয় না। মনে হয়, এই দেশ ভিতর ও বাহির সবদিক থেকেই একটা সার্বিক অন্তর্ঘাতের শিকার হয়ে চলেছে ক্রমাগত ও প্রতিনিয়ত। কিন্তু সে-টা এই দেশটাকে পর্যুদস্ত করতে পারছে না বলে কেবল ফুঁসছে ও একটার পর একটা অপকর্ম করে চলেছে। জাতীয় পত্রিকাগুলির শিরোনামগুলোও তার ব্যতিক্রম নয়, সেখানেও আশা জাগানিয়া সংবাদের পাশে যে-সব নিরাশার সংবাদ পরিবেশিত হয় সেগুলো মনকে ভালো করে দেওয়ার পক্ষে কোনও কার্যকর ভূমিকা পালন করে না। সুনামকণ্ঠ থেকে দুয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি। ১. ‘তাহিরপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ॥ চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ’, ২. ‘পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করলো দুর্বৃত্তরা’, ৩. ‘জালিয়াতি করে বয়স্ক ভাতায় অন্তর্ভুক্তি’। এই তিনটি সংবাদশিরোনাম দেশের ভেতর থেকে অন্তর্ঘাত চলার প্রবণতাকে প্রকাশ করছে। অপরদিকে যখন ‘বিদেশি কূটনীতিকদের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার’, সংবাদ শিরোনামটি পাঠ করা যায়, তখন দেশের বাইরের থেকে পরিচালিত অন্তর্ঘাতের প্রকোপটির আভাস প্রতিফলিত হয়। অথবা এই গত সোমবারের সুনামকণ্ঠেই উদ্ধৃত সংবাদ প্রতিবেদনে যখন ‘জঙ্গিরা যেন কারও সহায়তা ও অর্থ না পায়’ প্রধানমন্ত্রীর এইরূপ বিষণ্ন-বিক্ষুব্ধ অনুজ্ঞা শোনা যায়, তখন দেশের ভেতরে চলমান দেশি-বিদেশি অন্তর্ঘাতের বাস্তবতাকে আরও প্রকট করে তোলে। একটু গভীরে গিয়ে চিন্তা করলে যে-কারও মনে হতেই পারে যে, এই সর্বাস্তৃত অন্তর্ঘাতে নিমজ্জনকে জাতি প্রতিমুহূর্তে প্রতিহত করে এগিয়ে চলেছে, তাতেও কোনও সন্দেহ নেই। আসলে এটাই বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনীতিক বাস্তবতা, ইতিহাস তার নিদর্শন।
আমরা কেবল দেশের ভেতরে অন্তর্ঘাতে ব্যাপৃত এইসব দুর্বৃত্ত বলে অভিহিত মানুষজনের আত্মজাগৃতির প্রত্যাশা করছি এবং জানিয়ে দিচ্ছি মিরজাফর কিংবা দেশের খেয়ে দেশের পরে বিদেশের সেবক রাজাকাররা কোনও দিনই জয়ী হয় নি এবং হতেও পারবে না, দালালিই হবে তাদের জীবনের সার। বাংলাদেশের জয়যাত্রাকে প্রতিহত করতে পারে এমন কোনও শক্তি পৃথিবীতে নেই। এ দেশে অন্তর্ঘাতের খপ্পরে পড়ে বাকশালনীতি প্রতিহত হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ ‘মানুষের সামর্থানুসারে দেওয়া ও প্রয়োজনানুসারে নেওয়ার’ দেশে একদিন পরিণত হবেই, কোনও অন্তর্ঘাতই সে-উন্নতিকে ঠেকাতে পারবে না।
প্রতিনিয়ত চলমান অন্তর্ঘাত প্রসঙ্গে
গত সোমবারের (২৮ নভেম্বর ২০২২) সুনামকণ্ঠের সংবাদ শিরোনামগুলো এক নিঃশ^াসে পড়ে নিলে মনটা ভালো হয়ে উঠার কোনও কারণ উপজিত হয় না। মনে হয়, এই দেশ ভিতর ও বাহির সবদিক থেকেই একটা সার্বিক অন্তর্ঘাতের শিকার হয়ে চলেছে ক্রমাগত ও প্রতিনিয়ত। কিন্তু সে-টা এই দেশটাকে পর্যুদস্ত করতে পারছে না বলে কেবল ফুঁসছে ও একটার পর একটা অপকর্ম করে চলেছে। জাতীয় পত্রিকাগুলির শিরোনামগুলোও তার ব্যতিক্রম নয়, সেখানেও আশা জাগানিয়া সংবাদের পাশে যে-সব নিরাশার সংবাদ পরিবেশিত হয় সেগুলো মনকে ভালো করে দেওয়ার পক্ষে কোনও কার্যকর ভূমিকা পালন করে না। সুনামকণ্ঠ থেকে দুয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি। ১. ‘তাহিরপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ॥ চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ’, ২. ‘পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করলো দুর্বৃত্তরা’, ৩. ‘জালিয়াতি করে বয়স্ক ভাতায় অন্তর্ভুক্তি’। এই তিনটি সংবাদশিরোনাম দেশের ভেতর থেকে অন্তর্ঘাত চলার প্রবণতাকে প্রকাশ করছে। অপরদিকে যখন ‘বিদেশি কূটনীতিকদের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার’, সংবাদ শিরোনামটি পাঠ করা যায়, তখন দেশের বাইরের থেকে পরিচালিত অন্তর্ঘাতের প্রকোপটির আভাস প্রতিফলিত হয়। অথবা এই গত সোমবারের সুনামকণ্ঠেই উদ্ধৃত সংবাদ প্রতিবেদনে যখন ‘জঙ্গিরা যেন কারও সহায়তা ও অর্থ না পায়’ প্রধানমন্ত্রীর এইরূপ বিষণ্ন-বিক্ষুব্ধ অনুজ্ঞা শোনা যায়, তখন দেশের ভেতরে চলমান দেশি-বিদেশি অন্তর্ঘাতের বাস্তবতাকে আরও প্রকট করে তোলে। একটু গভীরে গিয়ে চিন্তা করলে যে-কারও মনে হতেই পারে যে, এই সর্বাস্তৃত অন্তর্ঘাতে নিমজ্জনকে জাতি প্রতিমুহূর্তে প্রতিহত করে এগিয়ে চলেছে, তাতেও কোনও সন্দেহ নেই। আসলে এটাই বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনীতিক বাস্তবতা, ইতিহাস তার নিদর্শন।
আমরা কেবল দেশের ভেতরে অন্তর্ঘাতে ব্যাপৃত এইসব দুর্বৃত্ত বলে অভিহিত মানুষজনের আত্মজাগৃতির প্রত্যাশা করছি এবং জানিয়ে দিচ্ছি মিরজাফর কিংবা দেশের খেয়ে দেশের পরে বিদেশের সেবক রাজাকাররা কোনও দিনই জয়ী হয় নি এবং হতেও পারবে না, দালালিই হবে তাদের জীবনের সার। বাংলাদেশের জয়যাত্রাকে প্রতিহত করতে পারে এমন কোনও শক্তি পৃথিবীতে নেই। এ দেশে অন্তর্ঘাতের খপ্পরে পড়ে বাকশালনীতি প্রতিহত হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ ‘মানুষের সামর্থানুসারে দেওয়া ও প্রয়োজনানুসারে নেওয়ার’ দেশে একদিন পরিণত হবেই, কোনও অন্তর্ঘাতই সে-উন্নতিকে ঠেকাতে পারবে না।