স্টাফ রিপোর্টার ::
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে শহরের ওয়েজখালি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪ জনকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এসময় ৫টি নৌকা থেকে ২০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাফিউল মাজলুবিন রহমান।
জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জের ধোপাজান-চলতি নদীসহ কয়েকটি বালুমহালে অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলন করে আসছে একটি সিন্ডিকেট। সংগ্রহকৃত বালু সুরমা নদীর দুই পাড়ে অবৈধভাবে ডাম্পিং করে চড়া মূল্যে বিক্রি করে থাকে তারা। যার ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ওয়েজখালি এলাকায় মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৫টি বাল্কহেড থেকে ২০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ এবং ৬ শ্রমিককে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ২ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। বাকি ৪ জনকে ১ মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। দ-প্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার উড়ারকান্দা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে শাহীন মিয়া, মনিপুরহাটির ইউনুস মিয়ার ছেলে আজিজুর রহমান, কাইয়ারগাঁওয়ের রবি হোসেনের ছেলে সোহরাব উদ্দিন এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভাদেরটেকের খুরশিদ মিয়ার ছেলে মো. রানা।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাফিউল মাজলুবিন রহমান জানান, বালু উত্তোল করলে বালুমহাল ইজারাদারের অনুমতিপত্র থাকতে হবে। আমরা যেসব নৌকার বালু জব্দ করেছি তাদের কাছে কোনো ধরনের বৈধতা পাইনি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে আটকৃত ৬ জনের মধ্যে ৪ জনকে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বাকি দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।