1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শাল্লার ১১ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ জানুয়ারিতে

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
শাল্লা উপজেলার মুকিত মনিরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দশম ও এগারোতম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
রোববার (২০ নভেম্বর) নির্ধারিত দিনে রাষ্ট্রপক্ষের আনা দশম ও এগারোতম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী দিন ঠিক করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে থাকা আইনজীবী প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, আসামিদের মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার হয়েছেন। আর পাঁচজন দেশে-বিদেশে পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতার এক আসামি জোবায়ের মনির জামিনে রয়েছেন।
তিনি বলেন, মামলায় ১১ আসামির বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) জমা দেন। পরে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এখন পর্যন্ত ১১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী জানান, ২০১৬ সালে ট্রাইব্যুনালে একাত্তরে গণহত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে জোবায়ের মনির, তার ভাই প্রদীপ মনির ও চাচা মুকিত মনিরসহ স¤পৃক্তদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। ওই বছরের ২১ মার্চ অভিযোগের তদন্ত শুরু করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
পেরুয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রজনী দাসের দায়ের করা মামলায় ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর জোবায়ের মনির, জাকির হোসেন, তোতা মিয়া টেইলার, সিদ্দিকুর রহমান, আব্দুল জলিল, আব্দুর রশিদসহ অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ দায়েরের পরই আমেরিকায় পালিয়ে যান মুকিত মনির।
২০১৯ সালের ১৭ জুন তদন্ত সংস্থা একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জোবায়ের মনিরসহ ১১ জন জড়িত বলে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আদালতকে অসুস্থতার তথ্য দিয়ে জোবায়ের মনির জামিন পান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নূর হোসেন জানান, অপরাধী হিসেবে জোবায়ের মনিরসহ ১১ জনের অপরাধের অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছি। এরমধ্যে ছয়জন গ্রেফতার হয়েছেন। জোবায়ের মনির অসুস্থতার কথা বলে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বরে হাওরাঞ্চলের শীর্ষ দালাল আব্দুল খালেকের নির্দেশে পেরুয়া, উজানগাঁও, শ্যামারচরে ভয়াবহ গণহত্যা, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়। শ্যামারচর বাজারের স্কুলের সামনে সনাতন ধর্মের ২৭ জনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়। পরে কয়েকটি এলাকায় তিন শতাধিক প্রশিক্ষিত রাজাকার বাহিনী দিয়ে নারীদের ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল।

ওই গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আব্দুল খালেকের ভাই মুকিত মনির, কদর আলী, ছেলে প্রদীপ মনির, জোবায়ের মনিরসহ প্রশিক্ষিত রাজাকার বাহিনী। ১৯৭২ সালে কদর আলীকে দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com