1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জঙ্গি ছিনতাই : সুনামগঞ্জে কঠোর নজরদারি

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার ::
ঢাকায় আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার পর সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকা ও আদালত পাড়া কঠোর নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ ও বিজিবি। ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গির মধ্যে মইনুল হাসান শামীম নামে একজনের বাড়ি ছাতকে। সে ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে আব্দুল কদ্দুস মিয়ার ছেলে।
রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের চোখে ¯েপ্র ছিটিয়ে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি দুই জঙ্গি আবু ছিদ্দিক সোহেল ও মঈনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেয় সহযোগীরা। ছিনিয়ে নেওয়ার পরপরই তাদের ধরতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পুলিশ-র‌্যাব তাদের হন্যে হয়ে খুঁজছে। পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জঙ্গি মইনুল হাসান শামীমকে তার সহযোগীরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা শুনার পর থেকে লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে।
কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওদুদ জানান, তারা চার ভাই দু’বোনের মধ্যে শামীম সবার ছোট। বাড়িতে তার মা শুধু একা বসবাস করে। ভাইয়েরা সবাই দেশের বাইরে অবস্থান করে। তার বাবা আওয়ামী লীগের নেতা ছিল, পরিবারটি ভালো ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কীভাবে সে জঙ্গিদের সঙ্গে মিশে যায় তা আমাদেরও বোধগম্য হয়নি। রোববার (২০ নভেম্বর) আদালত থেকে তার পালানোর বিষয়টি টিভি, ফেসবুকে ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে শুনেছি দেখেছি।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে কঠোর নজরদারি জঙ্গি ছিনতাই
সুনামগঞ্জে কঠোর নজরদারি
স্টাফ রিপোর্টার ::
ঢাকায় আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার পর সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকা ও আদালত পাড়া কঠোর নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ ও বিজিবি। ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গির মধ্যে মইনুল হাসান শামীম নামে একজনের বাড়ি ছাতকে। সে ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে আব্দুল কদ্দুস মিয়ার ছেলে।
রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের চোখে ¯েপ্র ছিটিয়ে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি দুই জঙ্গি আবু ছিদ্দিক সোহেল ও মঈনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেয় সহযোগীরা। ছিনিয়ে নেওয়ার পরপরই তাদের ধরতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পুলিশ-র‌্যাব তাদের হন্যে হয়ে খুঁজছে। পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জঙ্গি মইনুল হাসান শামীমকে তার সহযোগীরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা শুনার পর থেকে লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে।
কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওদুদ জানান, তারা চার ভাই দু’বোনের মধ্যে শামীম সবার ছোট। বাড়িতে তার মা শুধু একা বসবাস করে। ভাইয়েরা সবাই দেশের বাইরে অবস্থান করে। তার বাবা আওয়ামী লীগের নেতা ছিল, পরিবারটি ভালো ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কীভাবে সে জঙ্গিদের সঙ্গে মিশে যায় তা আমাদেরও বোধগম্য হয়নি। রোববার (২০ নভেম্বর) আদালত থেকে তার পালানোর বিষয়টি টিভি, ফেসবুকে ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে শুনেছি দেখেছি।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। বাড়িতে তার ৭০-৮০ বছরের বৃদ্ধ মা ছাড়া কেউ নেই। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে উপজেলার ৩টি স্থানে ৩০জন পুলিশ কাজ করছে। সেই সাথে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি টহল বাড়ানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, ঘটনাটির পর থেকে আমরা কঠোর নজরদারি রাখছি। সে সঙ্গে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। দুই জঙ্গি কোনোভাবেই যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে তার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। প্রতিটি থানায় কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় আরো নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবির প্রতিটি বিওপিকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাখা হচ্ছে। বাড়িতে তার ৭০-৮০ বছরের বৃদ্ধ মা ছাড়া কেউ নেই। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে উপজেলার ৩টি স্থানে ৩০জন পুলিশ কাজ করছে। সেই সাথে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি টহল বাড়ানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, ঘটনাটির পর থেকে আমরা কঠোর নজরদারি রাখছি। সে সঙ্গে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। দুই জঙ্গি কোনোভাবেই যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে তার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। প্রতিটি থানায় কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় আরো নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবির প্রতিটি বিওপিকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com