সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে চার লাখের বেশি নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিলেট জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল সমাবেশে চার লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। কিন্তু আমরা দেখছি সমাবেশে আরও বেশি লোক এসেছেন।
সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে দেখা যায়, সমাবেশে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা ¯ে¬াগানে ¯ে¬াগানে চারপাশ মুখরিত করে রেখেছেন। স্থানীয় নেতারা প্ল্যাকার্ড হাতে দলে দলে সমাবেশ স্থলের দিকে যাচ্ছেন।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার নগরের আলিয়া মাদরাসা মাঠে সমাবেশ শুরু হলেও অন্য জেলা থেকে প্রায় ৫০ হাজার সমর্থক শুক্রবার রাতেই সিলেটে সমাবেশ স্থলে চলে আসেন। তাদের অনেকে সমাবেশ ক্যা¤েপসহ বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার ও হোটেলে অবস্থান নেন। সকাল থেকেই সমাবেশ স্থলে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
শহরের প্রতিটি পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মাধ্যমে গণসমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে মঞ্চের পাশেই টাঙানো হয় সাইফুর রহমান ও ইলিয়াস আলীর বড় দুটি ছবি। এক দলের হলেও শেষের দিকে রাজনীতির মাঠে পর¯পরের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন সাইফুর-ইলিয়াস। তাদের দুজনের নামে দুই ধারায় বিভক্ত সিলেট বিএনপি। তাদের প্রয়াণ আর অন্তর্ধানের দীর্ঘদিন পরও সাইফুর অনুসারী আর ইলিয়াস অনুসারী নামে এখনও সিলেটের বিএনপি নেতাদের মেরুকরণ করা হয়। সমাবেশ মঞ্চের পাশে ছবিতে পাশাপাশি দেখা যায় দুই নেতাকে। এছাড়া সমাবেশ উপলক্ষে নগরজুড়ে টাঙানো ব্যানার-বিলবোর্ড-ফেস্টুনে সাইফুর-ইলিয়াসের ছবি দেখা গেছে। সমাবেশে সাইফুর রহমান ও ইলিয়াস আলীর ছবি টাঙানোতে খুশি দলের কর্মীরাও।
মৌলভীবাজার থেকে আসা বিএনপির নেতা আবেদ রাজা বলেন, সিলেটবাসী সাইফুর রহমানের অবদান কখনো ভুলতে পারবে না। আর ইলিয়াস আলী বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় পুরো বিভাগে বিএনপিকে শক্তিশালী ও চাঙ্গা করে তুলেছিলেন। তাই আজকের সমাবেশে তাদের ছবি টাঙিয়ে কৃতজ্ঞতার প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ স¤পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, সাইফুর রহমান ও ইলিয়াস আলী আমাদের নেতা। আমরা তাদের ভুলিনি। কখনো ভুলবো। এ সরকার সাইফুর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চাচ্ছে। আর ইলিয়াস আলীকে গুম করে রেখেছে। কিন্তু সিলেটবাসীর মনে তারা রয়েছেন।