স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সরকার সুনামগঞ্জের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার মো. শাহরিয়ার আশরাফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) বিজন কুমার সিংহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ বিন রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল আবেদীন প্রমুখ।
‘উদ্ভাবনী জয়োল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ; এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ৬০ টি স্টল অংশগ্রহণ করে। স্টলগুলোতে সরকারের ডিজিটাল উন্নয়নমূলক কাজের স্থির চিত্র প্রদর্শনীসহ ডিজিটাল তথ্য ও সেবা প্রদান করা হয়।
সেবাগুলোর মধ্যে-অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, ভিজিডি সুবিধাভোগীর আবেদন, ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স, পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রদর্শনী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, অনলাইনে থানায় জিডি, ভূমির নামজারী, ভূমির পর্চা, জমির দাখিলা, পাসপোর্টের জন্য আবেদন, সাইবার ¯েপসে নারী সেবা, নারীরা স¤পূর্ণ নিশ্চিন্তে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিচালিত ফেসবুক পেইজ, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের প্রকাশনা ‘বিজয়ের ৫০ বছর’ শেখ হাসিনা লিখিত স্মৃতিকথামূলক রচনা- ‘শেখ মুজিব আমার পিতাদ। যাতে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের অনেক অজানা তথ্য।
দুই দিনব্যাপী এ মেলায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার লোকজনের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
মেলার স্টলে কথা হয় জেলা সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক কবি ও লেখক এস.ডি সুব্রত’র সঙ্গে। তিনি বলেন, ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সাফল্যগাঁথা। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মেলার মাধ্যমে সাধারণ জনগন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সেবা স¤পর্কে অবহিত হতে পেরেছে।
কথা হয় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, মেলায় স্কুল, কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ লোকজনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আমরা দর্শনার্থীদের ডিজিটাল তথ্যসেবা প্রদান করেছি।
মেলার সমাপনী দিনে অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনসহ সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী পাগল হাসানসহ স্থানীয় শিল্পীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গিয়াস চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে সদর উপজেলা ভূমি অফিস, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে বিআরটিএ বিভাগ।