স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ থেকে পাচার করা ৪ নারীকে নোয়াখালীর কবিরহাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কবিরহাট থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালীর কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উদ্ধারকৃত চার নারী হলেন, দিরাই উপজেলার গাঘটিয়া গ্রামের গৃহবধূ (২০), বড়গাঁও গ্রামের কন্যা (১৮), শাল্লা উপজেলার হরিণানগর গ্রামের গৃহবধূ (৩৫) এবং ছাতক উপজেলার ছোট মারকুল গ্রামের কন্যা (১৮)।
গ্রেপ্তারকৃত মানবপাচারকারী আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে সোহেল (২৪) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হারুনের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার চার নারী পরিবার-পরিজন নিয়ে অভাব-অনটনের মধ্যে দিনাতিপাত করছিলেন। এ সুযোগে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা তাদের পাচার করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে আসছিল। গত ১২ নভেম্বর বিদেশে নেওয়ার কথা বলে তাদের নিজ বাড়ি থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে বিদেশে নেয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে বলে ওই নারীদের জানায় আবু বক্কর সিদ্দিক। এজন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করতে তাদের বুধবার নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে নেয়া হয়। এরপর পাচারকারী চক্রের হোতা সিদ্দিকের বাড়িতে তাদেরকে রেখে এনআইডি করার জন্য অনলাইনে ফরম পূরণ করা হয়। পরে চার নারীকে পার্শ্ববর্তী কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ছবি তোলার জন্য নেয়া হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে তারা তাদের প্রকৃত ঠিকানা বলেন। পরে স্থানীয়রা তাদের পাচার করার বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দিলে কবিরহাট থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।
কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীদের একজন বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে সোহেলকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) কবিরহাট থানার এসআই শ্রীকান্ত চন্দ্র দাস জানান, উদ্ধারকৃত এক নারীর বড়ভাই ও বোন এসেছেন। সবাই একই জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় আমরা তাদের জিম্মায় ৪ নারীকে দিয়ে দেব।