স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের মঞ্চে রেখে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ও দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়াসহ ৮১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ স¤পাদক কলিম উদ্দিন। আদালতের বিচারক সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম মামলটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে তদন্তের জন্য দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন।
মামলা দায়ের ও আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল আজাদ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে দিরাই সদরের বিএডিসি মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশ হয়। সমাবেশ শুরুর কিছু সময় পর মোশাররফ মিয়ার নেতৃত্বে একটি মিছিল সমাবেশস্থলে আসে। এ সময় মোশাররফ মিয়ার মঞ্চে ওঠা নিয়ে হাতাহাতি এবং পরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় ৫০ জন আহত হন। মঞ্চে বসা প্রধান অতিথি দলের সভাপতিম-লীর সদস্য নূরুল ইসলাম নাহিদসহ অন্য অতিথিরা প্লাস্টিকের চেয়ারকে ঢাল বানিয়ে ঢিল থেকে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন। তারপরও কারও কারও শরীরে ঢিল লাগে। তখন মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক স¤পাদক আহমদ হোসেন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাঁর সমর্থকদের থামাতে বলেন। কিন্তু তাকে কাজ না হওয়ায় সম্মেলনের কার্যক্রম প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে বেলা দুইটায় আবার কার্যক্রম শুরু হয়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলে।
মামলার বাদী কলিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন সাবেক মন্ত্রী, ৩ সংসদ সদস্যসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের উপর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা বিএনপি জামায়াতের সহযোগিতায় ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। এতে নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আদালতে মামলা দায়ের করেছি। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল আজাদ রোমান জানান, দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হামলার ঘটনায় ৮১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি এফআইআর গণ্যে আদেশ দেন।