সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। গত রোববার রাতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন নিহত রিপন দাসের ভাই রূপণ দাস এবং নিহত শিপা তালুকদারের বড় ভাই নিবারণ তালুকদার।
মৃত শিপা (২১) সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পৈন্দা গ্রামের নির্ণয় তালুকদারের মেয়ে এবং রিপন (৩০) জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের সুভাষ দাসের ছেলে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ মামুন জানান, কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
রোববার পাঠানটুলার পল্লবী আবাসিক এলাকার বাসা থেকে ওই দ¤পতির লাশ উদ্ধারের সময় তাদের দেড় বছরের ছেলে শিশু এবং একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে শিশুটি তার দিদিমা ও মামাদের কাছে রয়েছে।
প্রতিবেশী ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিপন একটি বিস্কুট কো¤পানিতে চাকরি করতেন। প্রায় আড়াই-তিন বছর আগে এ দ¤পতির বিয়ে হয়। তারা ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রোববার সকাল ৯টার দিকে ঘরের ভেতর থেকে ছোট বাচ্চার কান্না শুনতে পাওয়া যায়। অনেক ডাকাডাকি করার পরও ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরের টিন কেটে তাদের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এ সময় দেড় বছরের শিশুটি তার মায়ের পা ধরে কান্না করছিল। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।