স্টাফ রিপোর্টার ::
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণার সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগের জন্য উড়াল সড়কের নির্মাণকাজ কয়েকদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি। সোমবার সকালে রাণীগঞ্জ সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণার সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগের জন্য উড়াল সড়কের টেন্ডার হয়ে গেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই কাজ উদ্বোধন হবে। তিনি বলেন, রাণীগঞ্জ সেতু নির্মাণে শ্রমিক, প্রকৌশলী অনেক শ্রম দিয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসীও অনেক সহযোগিতা করেছেন। এজন্য তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞা জানাই। জনগণের স¤পত্তি জনগণ রক্ষা করবে। এর উপকারভোগী জনগণ।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের হাওরে প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। একইসঙ্গে এলাকায় সব ঋতুতে চলাচল উপযোগী সড়ক বা সাবমার্সিবল (ডুবন্ত) রোডও তৈরি করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানিয়েছেন, দেশের দুটি মাত্র জেলা সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা পাশাপাশি থাকার পরও সড়কপথে পর¯পর যোগাযোগ বিহীন অবস্থায় রয়েছে। এ দুই জেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। উড়াল সড়ক এ দুই জেলার সংযোগ স্থাপন করবে। পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য গ্রামীণ সড়কও উন্নত করা হবে।
‘হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এর আওতায় অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে হাওর অঞ্চলে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণে সহযোগিতা এ প্রকল্পের লক্ষ্য। প্রকল্পভুক্ত এলাকা হলো সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা এবং নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলা। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করা হবে। এতে ব্যয় হবে তিন হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে দেশীয় অর্থে।
প্রকল্পের আওতায় প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে- ১০ দশমিক ৮১ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক উন্নয়ন, ৯৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার অল সিজন উপজেলা সড়ক, ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার সাবমার্জিবল উপজেলা সড়ক, ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার সাবমার্সিবল ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক এবং ৫৭টি ব্রিজ ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ (মোট দৈর্ঘ্য পাঁচ হাজার ৬৮৮ মিটার)।