সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিলেটে নিজ বাড়ির পৃথক কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর মরদেহ যেই কক্ষে ছিল সেখানে টেবিলের ওপর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চিরকুটটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কার লেখা তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
রোববার দুপুরে নগরের পাঠানটুলা এলাকার পল্লবী আ/এ সি ২৫ নম্বর বাসা থেকে এই দ¤পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লেখা ছিল- ‘আমি আমার পাপের শাস্তি পাইছি। আমি আমার একটা মাত্র ছেলেকে রেখে গেলাম, তুমরা ওকে দেখ। সবাই আমাকে কমা করে দিয়।’
মরদেহ উদ্ধার হওয়া দ¤পতি হলেন- রপন দাস (৩০) ও শিপা তালুকদার (২৮)। গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়। তাদের ১৮ মাসের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
রিপন দাস জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের সুভাষ দাসের ছেলে এবং শিপা তালুকদার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পৈন্দা গ্রামের নির্ণয় তালুকদারের মেয়ে। তারা পল্লবী আবাসিক এলাকার ধীরেন্দ্র দে’র বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন।
প্রতিবেশীরা বলছে, রোববার সকাল ৯টার দিকে ওই ঘরের মধ্যে শিশুর কান্না শুনতে পান প্রতিবেশীরা। বাইরে থেকে তখন ডাকাডাকি করে রিপন ও শিপার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানানো হয় জালালাবাদ থানা-পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে পৃথক দুটি কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, এডিসি গৌতম দেব, জালালাবাদ থানার এসি মিজান, থানার ওসি নাজমুল হুদা খান, ওসি (তদন্ত) খালেদ মামুনসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে কাজ করবে পুলিশ। তাতে বিস্তারিত তথ্য মিলতে পারে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, সকাল ১১টার দিকে আমরা খবর পাই। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এখন ময়নাতদন্ত হবে।
আজবাহার আলী শেখ আরও বলেন, ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের তথ্য জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তদন্তে বের হয়ে আসবে।