জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের বাণিজ্য বন্দর সাচনা বাজার। জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা গ্রামের নামানুসারে ইউনিয়নের নামকরণ করা হয় সাচনা বাজার ইউনিয়ন। ১৯৬০ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ইউনিয়ন। বর্তমানে ২৭টি গ্রামের সমন্বয়ে ২৬০৪৯ লোক বাস করছে ৩৩.১০ বর্গ কি.মি. আয়তনে। সাচনা বাণিজ্যকেন্দ্রসহ ৪টি বাজার, ৫টি ছোট বড় হাওর, ১টি বালু মহাল, ৪টি খেয়াঘাটসহ ৫৫৬৬ হেক্টর আবাদী জমি, ২৪৬ হেক্টর অনাবাদী, একফসলী বোর জমি রয়েছে ৫২৯২ হেক্টর, দুই ফসলী জমি রয়েছে ২৭৬ হেক্টরসহ একটি ইউনিয়নের সকল গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য। প্রতি বছরে সরকারকে প্রতি ইউনিয়নের নির্ধারিত হিসাবের চেয়েও অনেক গুণ বেশী রাজস্ব প্রদান করে আসছে। কিন্তু সৃষ্টির পর থেকেই সুরমা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত জামালগঞ্জ উপজেলা সদরের উপকণ্ঠে উপজেলা ভূমি অফিস সংলগ্ন সাচনা ইউনিয়ন ভূমি অফিস স্থাপিত হয়। যার ফলে উপজেলার এই ইউনিয়নের জনগণ সুরমা নদী পাড়ি দিয়ে সময় ও অনেক অর্থ অপচয় করে উপজেলা সদরে ভূমি সংক্রান্ত কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনের আবেদন-নিবেদনের পর দুর্লভপুরস্থ সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পাশে সরকার নির্মাণ করেছে সাচনা ইউনিয়ন ভূমি অফিস।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটির ভেতরে বিগত বন্যার সময়ে পানি প্রবেশ করায় ময়লা আর্বজনাসহ পড়ে আছে শেওলার স্তূপ, দ্বিতীয় তলার ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে দেয়ালে শেওলা পড়েছে। ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি দ্রুত চালুর দাবি উঠেছে। ইউনিয়নের নতুন ভবন চালু করার দাবি জানান ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া, সদস্য জয়নাল আবেদীন, আতুউর রহমান, ছমির মিয়া ও অন্যান্য সদস্যগণ।
সাচনা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন পাল ও সম্পাদক আসাদ আল আজাদ বলেন, নতুন ভবনে কার্যক্রম চালু না হওয়ায় আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। নতুন ভবন চালু করে আমাদেরকে হয়রানিমুক্ত করা হোক।
সাচনা বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিজন কানন দাস বলেন, ভবন নির্মাণকাজ শেষ করে ১ বছর আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে কোন আসবাবপত্র এখনো না আসায় ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠেনি।