স্টাফ রিপোর্টার ::
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধন হবে। তন্মধ্যে ১৭টি সেতু রয়েছে সুনামগঞ্জে। একই দিনে একই সময়ে সুনামগঞ্জের এই সেতুগুলোও উদ্বোধন করা হবে। আগামী ৭ নভেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন ঘোষণা করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স¤পন্ন করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, সুনামগঞ্জের এই ১৭টি সেতু নির্মাণ করেছে সুনামগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য জেলায় এক সাথে এতো সেতু নেই। তুলনামূলক আমাদের সুনামগঞ্জে বেশি সেতু উদ্বোধন হবে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় আনন্দের বিষয়। সেতু নির্মাণে সুনামগঞ্জবাসীর যোগাযোগে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন ব্যবসা বাণিজ্যসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গণভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশের তিন স্থানের সেতু উদ্বোধন ঘোষনা করা হবে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি, বরিশাল বিভাগের বরিশাল, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জে এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের আগেই মাঠে মানুষজনের বসার স্থান, যানবাহনে আসা-যাওয়ার নিরাপদ ব্যবস্থা, পেন্ডেল, স্টেজ, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, রাণীগঞ্জ সেতু নির্মাণের ফলে সুনামগঞ্জ টু ঢাকার দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার কমেছে। এতে সময় বাঁচবে প্রায় দেড় ঘণ্টা। এই বিষয়টি নিয়ে মানুষের অনুভূতি জানতে চাইবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
সুনামগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, রাণীগঞ্জ সেতু, আক্তাপাড়া সেতু, কোন্দানালা সেতু, দাঁড়াখাই সেতু, কলকলিয়া সেতু, কুশিলা সেতু, নাদামপুর সেতু, কাটাখাল সেতু, তকিপুর সেতু, ঘরগাঁও সেতু, হাসনাবাদ সেতু, মাধবপুর সেতু, পেপার মিল সেতু, রহমতবাগ সেতু, টেংগারগাঁও সেতু, লক্ষীবাউর সেতু, নৈনগাঁও সেতু নির্মাণ হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের ১শ সেতুর মধ্যে আমাদের সুনামগঞ্জের রাণীগঞ্জ সেতু সবচেয়ে বড়। এটির দৈর্ঘ্য ৭০২ মিটার। আমাদের ১৭টি সেতুর কাজ শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। কিন্তু ভয়াবহ বন্যায় সেতুর অ্যাপ্রোচ ভেঙে যাওয়ায় তা মেরামত করতে সময় লেগেছে। সুনামগঞ্জের এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মোট ৩৯০ কোটি টাকা। এসব সেতু নির্মাণে সুনামগঞ্জ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। আগামী ৭ নভেম্বর নবনির্মিত দেশের ১ শত সেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। আমাদের পক্ষ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সকল প্রকার প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভাশীষ ধর, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজেদুল ইসলাম, বিজিবি’র সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল মোমেন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণ, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর স¤পাদক পংকজ কান্তি দে, দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র প্রতিনিধি আকরাম উদ্দিন প্রমুখ।