স্টাফ রিপোর্টার ::
ঋতু পরিবর্তনের আগ মুহূর্তে সুনামগঞ্জে জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।
রবিবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ঠা-াজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি। শিশু ওয়ার্ডের ধারণক্ষমতার চেয়ে রোগীর সংখ্যা কয়েক গুণ। শয্যা খালি না থাকায় ওয়ার্ড ও বারান্দার মেঝেতে রেখে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে।
শীত অনুভূত হওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন ঠা-াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০০-৩৫০ জনের অধিক শিশু চিকিৎসা নিতে আসছে সদর হাসপাতালে। ফলে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার বীরগাঁও গ্রাম থেকে অসুস্থ ছেলেকে সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন মুহিবুর রহমান। তিনি বলেন, চারদিন হয়েছে ছেলেটার জ্বর ও খিচুনী। স্থানীয় বাজারে ডাক্তার দেখিয়ে কাজ না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। হাসপাতালে রোগী আর রোগী। ওয়ার্ডের মেঝেতে ছেলেরে রাইক্কা চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ডাক্তার বলেছেন কয়েকদিন ভর্তি থাকতে হবে।
আমেনা নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালে শিশু রোগী অনেক। অনেক ওষুধ বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। তারপরও যদি শিশুটি ভালো হয়, এই আশায় আছি।
সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স বলেন, ওয়ার্ডে ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকদিন ধরে শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। আমরা নিরলসভাবে তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি নতুন নয়। ঋতু পরিবর্তনের আগ মুহূর্তে হাসপাতালে শিশুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ শিশু ঠা-াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। কোনোদিন একজন, কোনোদিন দু’জন শিশু মারা যায়। মারা যাওয়া শিশুর বেশিরভাগই নবজাতক। আবার কোনো কোনো দিন শিশু মৃত্যুর হার শূন্য থাকে।