দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করে চলেছেন হানিফ বাংলাদেশী নামের একজন বাংলাদেশী। তিনি ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করে তাঁর কার্যক্রম শেষ করবেন – পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং তেঁতুলিয়ায় স্মারকলিপি পেশ করার মাধ্যমে তাঁর পরিকল্পনা মতো দেশের ৬৪ জেলা ও ৪৯৫ উপজেলায় স্মারকলিপি পেশ করার অভিনব কার্যক্রম শেষ হবে। দুর্নীতি বন্ধের এই ‘বৈপ্লবিক বুলিটি’ কিন্তু নতুন কোনও কীছু নয় বরং লক্ষ-কোটি বার উচ্চারিত হয়ে অতিশয় পুরনো একটি সামাজিক প্রপঞ্চে পর্যবসিত ও প্রতিষ্ঠিত। বিষয়টা অনেকটা এমন যে, একদিকে দুর্নীতি চলতেই থাকবে এবং অন্যদিকে চলবে তার নিষ্ফল বিরোধিতা।
আসলে দুর্নীতির একটি উৎস আছে। এই উৎসটিকে বন্ধ না করতে পারলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না। সুতরাং হানিফ বাংলাদেশী বা তাঁর মতো লোকেদের স্মারকলিপি পেশ করে দুর্নীতি বন্ধের আশা করার বিষয়টি একটি উত্তম গুড়ে বালির বেশি কীছু নয়। এবং বিধ কার্যকলাপ শেষ বিচারে আসলেই ভুলের চূড়ান্ত। জেনে রাখা ভালো যে, যেখানে যা পাবার নয় সেখানে তা পাওয়ার অনুনয় করে কোনও ফলোদয় হবার নয়। বিদগ্ধজনের ধারণা, দুর্নীতির উৎস হলো, সম্পত্তিতে ব্যক্তি মালিকানার লালসা হতে উৎসারিত পুঁজিবাদের সর্বগ্রাসী চরিত্র। এই পুঁজিবাদের উচ্ছেদ না হলে যেমন ইউক্রেনের যুদ্ধের মতো আরও যুদ্ধের বিস্তার (যে – যুদ্ধ আসলেই একটা বিশাল দুর্নীতি) বন্ধ হবে না বরং বাড়াবে, তেমনি দুর্নীতি বাড়বে বই কমবে না। দুর্নীতি নির্মূলের জন্য দুর্নীতির মূল উৎস বর্তমান শোষণভিত্তিক আর্থ-সামাজিক কাঠামোর খোলনলচে বদলে দিতে হবে।