1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সবজি চাষে ভাগ্য বদল কৃষক আব্দুল আওয়ালের

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২

জাকির হোসেন রাজু ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার স্বরূপগঞ্জ গ্রামের মৃত জনব আলীর ছেলে আব্দুল আওয়াল। ২ ছেলে, ৫ মেয়ের জনক আব্দুল আওয়ালের সংসারে একসময় অভাব-অনটন লেগে থাকতো। কিন্তু সবজি চাষ নিজের ভাগ্য বদলে নিয়েছেন আব্দুল আওয়াল। কঠোর পরিশ্রম এবং নিজ প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে সফল এবং স্বনির্ভর একজন সবজি চাষি হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেছেন। বর্তমানে স্থানীয়ভাবে সফল সবজি চাষি হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত আব্দুল আওয়াল। তার দেখাদেখি এখন সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকেই।
আব্দুল আওয়াল জানান, আগে সব জমিতে ধান চাষ করতেন তিনি। তাতে লোকসান হওয়ায় সবজি আবাদের দিকে ঝোঁকেন। প্রথমে অল্প জমিতে সবজির চাষ করলেও পরে লাভের মুখ দেখে নিজের অল্প জমির সঙ্গে বর্গা জমিতে সবজি চাষ শুরু করেন।
যে মৌসুমে যে সবজি হয়, সেটি চাষ করে থাকেন। চলতি মৌসুমে তিনি প্রায় ৪০ শতক জায়গায় লাউয়ের চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে ১লাখ টাকার বেশি লাউ বিক্রি করেছেন। এছাড়া তিনি চলতি মৌসুমে ৬০শত জায়গায় টমেটো, ৩০শতক জায়গায় মরিচ, ৩০শত জায়গায় বেগুন, ১৫শতক জমিতে শিম ও ৩০ শতক জায়গায় মিষ্টি আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করেছেন।
অন্যদিকে নিজের উদ্যোগেই বাড়ির আঙিনায় বারমিক কম্পোস্ট (কেচো সার) উৎপন্ন করছেন তিনি। এসব সার সরাসরি ঢাকা থেকে বিভিন্ন কীটনাশক কোম্পানি কিনে নেয়। প্রতি বছর তিনি কেচো সার বিক্রি করে লাখ টাকার উপরে আয় করেন।
সরেজমিনে স্বরূপগঞ্জ গিয়ে দেখা যায়, বসতঘরের পাশে সবজির ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত আব্দুল আওয়াল। তিনি সুনামকণ্ঠকে বলেন, একসময় প্রায় সব জমিতেই ধান চাষ করতাম, তবে এখন শুধু নিজেদের খাবার ধানটা চাষ করি। প্রায় ১২ মাসই সবজির চাষ করে থাকি। সবজি ক্ষেত পরিচর্যার জন্য নিজের দু’ছেলেসহ কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে নিয়মিতই কাজ করতে হয় জমিতে।
তিনি আরো বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ সেবায় রোগ-বালাই’র আক্রমণ থেকেও নিরাপদ থাকে তার সবজি ক্ষেত। তাই তার জমিতে সবজির ফলনও ভালো হয়। এবছর সবজির বাজার দাম ভালো হওয়ায় লাভ বেশি হচ্ছে বলে জানান।
স্থানীয় কৃষক কলিম উদ্দিন ও আবুল কালাম বলেন, তারা সবজি চাষ করলেও আব্দুল আওয়ালের মতো লাভ হতো না। অধিকাংশ সবজি রোগ-বালাই’র কবলে পড়ত। পরে আব্দুল আওয়ালের পরামর্শে উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে তাদের কথা মত সবজি চাষ শুরু করেন। এখন তাদের ফলন ভালো হচ্ছে।
ধনুপর ইউনিয়নের মাছিমপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছুল আলম বিধু বলেন, সবজি চাষের প্রতি আব্দুল আওয়ালের আগ্রহটা মূলত কৃষি বিভাগই সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে কিভাবে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করা যায়, এ ধারণাটা কৃষি বিভাগ থেকে নিয়ে কাজে লাগান তিনি। তার মাঠের সবজির অবস্থা ভালো। নিয়মিত আমাদের তদারকি ও পরামর্শ সেবা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে তিনি এলাকায় একজন সফল কৃষক হিসেবে পরিচিত। অনেকেই তাকে দেখে সবজি চাষ শুরু করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া বলেন, আব্দুল আওয়াল অত্যন্ত পরিশ্রমী সবজি চাষি। তার সবচেয়ে বড় গুণ, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ছাড়া তিনি কোনো কাজ করেন না। ক্ষেতের যে কোনো সমস্যায় তিনি আমাদের কাছে আসেন। আমরা তাকে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে থাকি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com