স্টাফ রিপোর্টার ::
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, আমাদের দেশের নারীরা সকল রকমের কাজ করতে পারেন। কৃষি, মৎস্য, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সকল স্থানে নারীরা আজ কাজ করছেন।
সোমবার বিকেলে শহরের ওয়েজখালি এলাকায় ব্র্যাকের কার্যালয়ে আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের দুই দশক পূর্তি এবং আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাও দারিদ্র্য নিরসনে কাজ করছে। ব্র্যাক কাজ করছে ১৯৭২ সাল থেকে। এই সংস্থাও দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সহকারী কমিশনার ইশরাত জাহান প্রীতি, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সালাহ উদ্দিন টিপু, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সাহিনুর রহমান, দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জহির উদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের এম.ই.এ.এল-এর সিনিয়র ম্যানেজার তাসনিয়া নাবিল এশা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি এ.কে আজাদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জোনাল ম্যানেজার মো. আজিজুল ইসলাম।
জাতিসংঘ এ বছরের আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘সর্বক্ষেত্রে সবার মর্যাদা অক্ষুণœ রাখি’। মানুষের মর্যাদা কেবল একটি একক মৌলিক অধিকার নয় বরং এটি অন্যান্য সকল মৌলিক অধিকারের ভিত্তি।
ব্র্যাকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, সরকারের মাঠপর্যায়ে তথা জেলা প্রশাসকগণকে আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রাম বিষয়ে সম্যক ধারণা দেওয়া এবং জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কাছে কর্মসূচিটির অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান তুলে ধরা। যা ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে অতিদারিদ্র্য দূরীকরণে আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রাম কীভাবে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসক এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের পরামর্শ গ্রহণ করা, যা ব্র্যাকের ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণে সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য যে, সুনামগঞ্জ জেলায় ২০১০সালে আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলাটির ১৮০৬০টি অতিদরিদ্র পরিবার ব্র্যাকের আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের আওতায় এসেছে। ২০২২ সালে সুনামগঞ্জ জেলায় এই কর্মসূচিটিতে অংশ নিচ্ছে ৬টি উপজেলার ১৯৩০ টি অতিদরিদ্র পরিবার। ২০০২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ৪৮টি জেলার ২১ লক্ষের বেশি অতিদরিদ্র পরিবার আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের আওতায় এসেছেন যাদের ৯৫% কর্মসূচি শেষ হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘমেয়াদেও তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।