1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

লেখক সুখেন্দু সেনকে সম্মাননা প্রদান

  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ জুন, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার ::
সর্বজন শ্রদ্ধেয় লেখক, কবি ও গবেষক সুখেন্দু সেনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘জলকন্যা সাহিত্য পরিষদ’ এই গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করে। এ উপলক্ষে শহরের পৌরবিপণিস্থ সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ।
জলকন্যা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি লেখক ও কবি কোহিনূর বেগমের সভাপতিত্বে ও লেখক, প্রভাষক মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, পৌর কাউন্সিলর সামিনা চৌধুরী মনি, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সেলিনা আবেদীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রী শেখর ভদ্র।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী ভানু, স্বপন কুমার রায়, অরুণ চন্দ্র দে, কবি এসডি সুব্রত, লেখক সবিতা বীর, অসীম সরকার, ব্যাংক কর্মকর্তা আশরাফ লিটন, সুজাদুল হক, মাসুদ আহমেদ, প্রভাষক মো. আতাউল করিম, প্রভাষক কবি ফজলুল হক দুলন, প্রভাষক দুলাল মিয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, আমি রাজনীতির মঞ্চে বক্তব্য দেই কিন্তু সাহিত্যের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়া খুব কঠিন। আমি এসেছি একজন গুণী লেখক, কবি আমার প্রিয় সুখেন্দু সেন দাকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে এই জন্য। আমরা স্কুল জীবনে দাদাকে চিনতাম একজন ব্যাংকার হিসেবে। তিনি অবসর গ্রহণে আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি শুরু করলেন। দাদার প্রথম যে বইটি বের হয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক। শরণার্থী শিবিরে মানুষের জীবনের দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। পরবর্তীতে দাদার আরেকটি বই প্রকাশ পেয়েছে। দাদার লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে। পাঠক যে লেখা শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত উঠা যায় না, সেটাই ভালো লেখা। দাদার লেখায় পাঠক ধরে রাখার মতো।
এমপি মিসবাহ আরও বলেন, আমাদের সন্তানদের জিপিএ ফাইভ পাওয়ার জন্য যে চাপ দেওয়া হয়, ততোটা খেলাধুলা, পত্রিকা পড়ার জন্য দেওয়া হয় না। দিন দিন বইয়ের পাঠক কমে যাচ্ছে। বয়স্ক মানুষ ছাড়া তরুণদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। এটা খুব আক্ষেপের।
এমপি মিসবাহ বলেন, সুখেন্দু দা নিভৃতচারী লেখক। তিনি মনের চাহিদার জন্য লেখেন। কোনো বিনিময়ের জন্য নয়। মরণোত্তর দেওয়ার চেয়ে জীবিতদের সম্মাননা দেওয়া বেশি উত্তম। এতে তাঁদের কর্মের সঠিক মূল্যায়ন হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, সুখেন্দু সেন দাদার ‘শরণার্থী একাত্তর’ গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি কবিতা দিয়ে সমাজের কথা তুলে ধরছেন। মেয়র নাদের বখত আরও বলেন, লেখালেখির মধ্যে অনেক অসচ্ছল লেখক আছেন, বই প্রকাশ করতে পারেন না। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি লাইব্রেরির মাধ্যমে চেষ্টা করবো অন্তত বছরে একটা বই প্রকাশ করতে। প্রতিটা মানুষের কাজের স্বীকৃতি আরও উৎসাহিত করে।
লেখক, কবি ও গবেষক সুখেন্দু সেন বলেন, আমি সম্মানের সাথে সম্মাননা গ্রহণ করছি। নিঃস্বার্থভাবে সাহিত্যের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জলকন্যা সাহিত্য পরিষদের পৃষ্ঠপোষক অ্যাড. রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু। আমি সংকুচিত হয়েও গৌরবের সাথে সম্মাননা গ্রহণ করছি। পিংকুর আন্তরিকতাকে আমি সম্মান জানাই। সে সুনামগঞ্জের জন্য অনেক কিছু করছে। নিঃসন্দেহে এই সম্মাননা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে। আমাদের জল আছে, জোছনা আছে। সবার সহযোগিতায় আমরা সুনামগঞ্জকে প্রাণের শহর, কবিতার শহর হিসেবে গড়ে তুলবো।
সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু বলেন, জলকন্যার পৃষ্ঠপোষক অ্যাড. রনেন্দ্র তালুকদার পিংকুকে ধন্যবাদ জানাই। সুনামগঞ্জের সন্তান সাংবাদিক পিংকু’র আন্তরিক উদ্যোগে আজকে যাঁকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে তিনি একজন গুণী ব্যক্তি। আমাদের সবার প্রিয়জন সুখেন্দু দা। আমি মনে করি, এভাবে আরও গুণী ব্যক্তিদের সম্মাননা দেওয়া উচিত। তাহলে সমাজে অনেক গুণীজন সৃষ্টি হবে। তিনি আরও বলেন, কবি, লেখক ও গবেষক সুখেন্দু সেন কবিতা, প্রবন্ধ, স্থানীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে নিয়মিত লিখছেন। তাঁর লেখা শরণার্থী ৭১ বই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে এক অনন্য দলিল হিসেবে সমাদৃত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর সামিনা চৌধুরী মনি বলেন, সুখেন্দু দা অনেক সম্মানের ও আমাদের ভালো লাগার মানুষ। আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু দা এমন সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। এ জন্য তাঁকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে লেখক ও কবি কোহিনূর বেগম বলেন, জীবন সংশ্লিষ্ট সবকিছুই সাহিত্য। জলকন্যা সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছে। একজন গুণী লেখক সুখেন্দু সেনকে আমরা সম্মাননা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক রনেন্দ্র তালুকদার পিংকুকেও অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা সবাই ভালো কাজের সাথে থাকবেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও জলকন্যার সাথে থাকবেন এটাই প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে লেখক, কবি ও গবেষক সুখেন্দু সেনের হাতে সম্মাননা স্মারক ও উপহার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com