স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ বলেছেন, আমাদের সারাদেশের সবাইকে এক হতে হবে। সারাদেশে ৫৬টি কমিটি আছে। আমাদের সভাপতি মহোদয় ১০ হাজার স্কয়ার ফুটের কার্যালয় দিয়েছেন বসুন্ধরা শপিং সেন্টারে। আগে আমাদের কার্যালয় ছিল একদম ছোট। আপনার এখন যে কার্যালয়ে বসে আছেন সেটা থেকেও ছোট। আমরা সব সময় চেষ্টা করি কোয়ালিটি স¤পন্ন মালামাল বিক্রি করতে। কিন্তু এই স্বর্ণের বাজার নিয়ে অস্থিরতা ছিল। এখন আর সেটি থাকবে না।
বুধবার রাতে শহরের কালিবাড়ি এলাকায় জুয়েলারি সমিতি সুনামগঞ্জ কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
গুলজার আহমেদ আরও বলেন, আমাদের সভাপতি মহোদয় অনেক কাজ করছেন। সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে দেশের সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এক হতে চাই। সে লক্ষ্যেই মূলত আমরা কাজ করছি। আমরা চাই সবাই ভাল ভাবে ব্যবসা করতে। আগে ভোট হতো এখন আর সেই নিয়ম নেই। সবকিছু শৃঙ্খলার মধ্যে চলে এসেছে। এর সবকিছুর একমাত্র অবদান আমাদের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর মহোদয়ের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে নীতিমালা দিয়েছেন সে অনুযায়ী আগামীতে জুয়েলারি সমিতি স্বর্ণ রপ্তানিও করবে। সে অনুযায়ী সায়েম সোবহান আনভীর ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছেন। সেটা বাস্তবায়ন করা হবে। আগে বাংলাদেশে স্বর্ণের বৈধতা ছিল না। এখন বৈধভাবে আমদানির সুযোগ আমরা তৈরি করছি। জেলা এবং উপজেলার জুয়েলারি সমিতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করেছি। গতকাল আমরা মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে এবং এর আগে সিলেটেও মিটিং করেছি। গার্মেন্ট শিল্পের মত একদিন এই শিল্প দাঁড়িয়ে যাবে। সেটাই চান আমাদের সভাপতি মহোদয়। আপনারা জেলা ও উপজেলার সকল লোক এক হোন। কারিগর তৈরি করুন। ব্যবসার স্বর্ণযুগ আসছে সামনে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বর্তমান অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ রায়, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সুনামগঞ্জ জুয়েলারি সমিতির সভাপতি নিলেন্দু কর্মকার চন্দন, সাধারণ সম্পাদক সজল দে, সহ-স¤পাদক কাজল দে প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জুয়েলারি ও স্বর্ণ কারিগরদের ৯৫ জন মালিক অংশগ্রহণ করেন। সভা শেষে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ তৃণমূল ব্যবসায়ীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।