1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিক অর্থ বরাদ্দ : মডেল ভিলেজ হবে বিশ্বম্ভরপুরের চান্দেরগাঁও

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১

পীর জুবায়ের ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চান্দেরগাঁওকে মডেল ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ জন্য অনুমোদিত প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চান্দেরগাঁও গ্রামে জরিপের কাজও শেষ হয়েছে এবং দ্রুত সময়ে কাজ শুরু হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ জানান, ফতেপুর ইউনিয়নের চান্দেরগাঁওকে মডেল ভিলেজ করার জন্য অনুমোদিত প্রকল্পে ৪ কোটি টাকা প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এলজিইডি ৩ কোটি টাকার কাজ টেন্ডারে দিয়েছে। এমপি মিসবাহ আরও জানান, তাঁর নির্বাচনী এলাকা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপজেলা প্রশাসনিক ভবন এবং হলরুম নির্মাণে ৭ কোটি ৩৭ লক্ষ ১০হাজার টাকা অনুমোদন হয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে এলজিইডি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শহরের সব নাগরিক সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরুর পরিকল্পনা করেছে সরকার। দেশজুড়ে প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) প্রণীত কর্ম-পরিকল্পনা থেকে জানাযায়, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ শীর্ষক এ মেগা প্রকল্পের অধীনে সড়ক যোগাযোগ, ইন্টারনেট সংযোগসহ টেলি যোগাযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মতো অনেকগুলি লক্ষ্য রাখা হয়েছে। পাইলট মডেল গ্রাম বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতায় দেশের অন্যান্য গ্রামগুলোতে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্প্রসারণ কাজ সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফতেপুর ইউনিয়নের চান্দেরগাঁওকে মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ সংস্থা স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থা মডেল পাইলট গ্রাম বাস্তবায়নে কাজ করবে।
জানাযায়, চলমান এই প্রকল্পের আওতায় শুরুতে পাইলট পাঁচটি মডেল গ্রাম করার পরিকল্পনা ছিল। পরে বাস্তবায়ন জটিলতায় ২টি মডেল গ্রাম স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় এলজিইডি। এর মধ্যে বিশ্বম্ভরপুরের চান্দেরগাঁও এবং কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হামিদপল্লীকে মডেলগ্রাম করার জন্য চিহ্নিত করা হয়। ইতোমধ্যে চান্দেরগাঁও গ্রামে জরিপের কাজও শেষ হয়েছে এবং দ্রুত সময়ে কাজ শুরু হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
এলজিইডির কর্মকর্তারা জানান, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে সামাজিক ও সংস্কৃতি বিষয়গুলোও মডেল গ্রামে গুরুত্ব পাবে। সরকারে ঘোষণা অনুযায়ী মডেল গ্রামে যোগাযোগ ও বাজার অবকাঠামো, আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা, মানসম্মত শিক্ষা, সুপেয় পানি, তথ্য প্রযুক্তি সুবিধা ও দ্রুতগতিস¤পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, উন্নত
পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কমিউনিটি ¯েপস ও বিনোদনের ব্যবস্থা, ব্যাংকিং সুবিধা, গ্রামীণ কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কৃষি আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সব সুবিধা রাখার কথা বলা হয়েছে।
জানাযায়, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি মডেল গ্রামে হাওর এলাকায় জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, খাদ্য ঘাটতি কমানো এবং আয় বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে। আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র ব্যবসার প্রসার স্বাবলম্বিতা অর্জন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বচ্ছতাবৃদ্ধি, একতা প্রতিষ্ঠা, মানসিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, পুঁজি গঠন এবং নারীর ক্ষমতায়নে জোর দেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন নিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার যে উদ্যোগ নিয়েছেন চান্দেরগাঁও মডেল ভিলেজ তারই একটি অংশ। এটা সুনামগঞ্জবাসীর জন্য একটা সুখবর বটে। হিলিপ প্রকল্পের আওতায় আমরা এই প্রথম সুনামগঞ্জবাসীর জন্য একটি মডেল ভিলেজ করতে যাচ্ছি। এখানে শহরের সকল সুবিধা থাকবে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ৪ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করেছি। পর্যায়ক্রমে এখানে সকল সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
হাওর অবকাঠামো ও জীবনযাত্রা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোপাল চন্দ্র সরকার জানান, হাওরের সড়ক অবকাঠামো একটা বড় সমস্যা। ফলে এমনভাবে সড়ক নির্মাণ করা হবে যাতে সারা বছরই এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে লোকজন যাতায়াত করতে পারবে। গ্রামে কোথায় স্কুল হবে, সে অনুযায়ী সড়ক অবকাঠামো তৈরি হবে। সব অবকাঠামো হবে পরিকল্পনামাফিক। তিনি আরও বলেন, শুধু অবকাঠামো নয়, গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান এবং আয় বাড়াতে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে তারা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠেতে পারে। এছাড় ডেইরি ফার্ম, পোলট্রি ফার্মসহ বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে ঋণ কর্মসূচি চালু থাকবে। শতভাগ স্কুল ভর্তি, বাল্যবিবাহ রোধ করা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগগুলো গ্রামে চালু করা হবে। মডেল গ্রামের একজনও কর্মহীন থাকবে না। আর এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com