ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় খুরমা উত্তর ইউনিয়নের আমেরতল গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সোমবার (১৫নভেম্বর) সকালে ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক-দোয়ারা সার্কেল) বিল্লাল হোসেন, ছাতক থানার ওসি মিজানুর রহমান। ঘটনাস্থলে ছাতক থানা পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশের দুটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপজেলার খুরমা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ স¤পাদক বিল্লাল আহমদ। তার চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় মনির উদ্দিনের ভাতিজা রুবেল আহমদ ও বিল্লাল আহমেদের ভাগনে আব্দুল আলিম নামে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন সাহেদ আহমদ (২৪), আতিক হাসান (২৬), বদরুল (২৫), পারভীন আক্তার (৪০), মরিয়ম বেগম (৫৫), মুক্তার (২৩), আমির আলী (৫৫), আবুল (৬০), রাসেল (৩০), মারুফ আহমদ (২৫), ছুরুক মিয়া (৪৫), ছায়েদ আহমদ (২৮), লিটন মিয়া (৩২), হানিফ আলি (৫০), রজব আলী (৫৩), জলাল মিয়া (৩২), শরিয়ত আলী (৪০)। অন্যান্য আহতদের নাম জানা যায়নি। গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যান্য আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্তত ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।