স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক নীতিশ পুরকায়স্থ ভুয়া কাগজ দিয়ে জাল দলিল করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। সোমবার দুপুরে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জাল দলিল জমা দিতে গিলে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জাল দলিল প্রস্তুত করার কথা স্বীকার কররেন। পরে পুলিশে ধরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর আগেও ভুয়া কাগজে একের জমি অন্যের নাম দিয়ে জাল দলিল করতে গিয়ে ধরা পড়ে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত মুচলেকা দিয়েছিলেন নীতিশ পুরকায়স্থ।
শাল্লা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার উপজেলার চাকুয়া মৌজার জয়পুর গ্রামের একটি দলিল ভুয়া কাগজ দিয়ে সম্পন্ন করেন একই উপজেলার হবিবপুর গ্রামের যতীন্দ্র পুরকায়স্থের ছেলে দলিল লেখক নীতিশ পুরকায়স্থ। ভুয়া পর্চা দিয়ে তিনি ওই দলিলটি করতে গেলে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তারা তাকে অফিসে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবদ করলে ভুয়া কাগজের কথা স্বীকার করেন নীতিশ। এসময় তিনি আরও জানান, শাল্লা উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আজিজ মিয়ার সহায়তায় তিনি একটি জাল পর্চা বের করেছেন। পরে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার মো. আব্দুল বাতেন পুলিশ ডেকে নিয়ে অফিস কক্ষে তাকে হাতকড়া পরান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও তিনি একাধিকবার ভুয়া কাগজ সৃজন করে সাবরেজিস্ট্রার অফিসের একটি চক্রকে নিয়ে একাধিক জাল দলিল সম্পাদন করেছেন। একাধিকবার ধরা খাওয়ার পরও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কারণে একবার লিখিত মুচলেকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি ওই অফিসের অফিস সহায়ক মোহন মিয়ার দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। সোমবার দুপুরে ওই চক্রের সদস্য দলিল লেখক নীতিশ পুরকায়স্থ আবারও ভুয়া পর্চা সংগ্রহ করে দলিল করতে গেলে ধরা পড়েন।
শাল্লা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ভুয়া কাগজ দিয়ে দলিল করতে এসে একজন দলিল লেখককে নিজেদের অফিসে আটক করে রাখে কর্তৃপক্ষ। আমাকে ফোন দিয়ে সহায়তা চাইলে আমি পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছি। পুলিশ তাকে আটক করেছে। তবে এখনো থানায় নিয়ে আসা হয়নি।
শাল্লা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার মো. আব্দুল বাতেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
তবে জেলা রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারকে বলে ওই দলিল লেখকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।