পীর জুবায়ের ::
সুনামগঞ্জে টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটের নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে নির্মাণের ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
জানাযায়, এই প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ ১২৬ কোটি টাকা হলেও এই পর্যন্ত গণপূর্ত বিভাগ পেয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। তার মধ্যে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ১১ কোটি এবং ভবন নির্মাণ বাবদ ২৫ কোটি টাকা তারা পেয়েছে। কাজের অগ্রগতি যেন না থামে সেজন্য যথেষ্ট তৎপর রয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।
সূত্র আরও জানায়, টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটে থাকবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন কয়েকটি প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আবাসিক ভবন, অভ্যন্তরীণ সড়ক, শহীদ মিনার ও খেলার মাঠ, ২টি হল নিয়ে মোট ১১টি ভবন।
২০১৭ সালে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটের বিল পাস হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৯-এর নভেম্বরে। তখন কাজ শেষের সম্ভাব্য মেয়াদকাল ছিল ২০২১ এর জুনে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকায় বর্তমানে এই প্রকল্পের সম্ভাব্য মেয়াদকাল বেড়ে হয়েছে ২০২২ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এই ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম শুরু হলে এখান থেকে ৩টি সাবজেক্টে প্রতি বছর ৪০জন করে ১২০জন শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে পারবে।
কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানান, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কর্মসংস্থান তৈরির বিকল্প নেই। এজন্য কারিগরি শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। কারিগরি শিক্ষা নিলে কাউকে বেকার বসে থাকতে হয় না। তাদের জন্য দেশে চাকরি বা আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি দেশের বাইরেও উচ্চ বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে। তবে, কারিগরি শিক্ষা হতে হবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার ভিত্তিতে। সেক্ষেত্রে বর্তমান চাহিদা হিসেবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটের বিকল্প নেই।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুশতাক আহমদ জানান, সত্যিই নিজেদের ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমরা স্বপ্নেও যা কল্পনা করতে পারিনি আজ তা পূরণের দ্বারপ্রান্তে। আমাদের এখানে টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটের কাজ শেষ হলেই আধুনিক শিক্ষায় আলোকিত হবে আমাদের এই জনপদ।
আব্দুল আলিম জানান, টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট স্থাপন আমাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। এখান থেকে আমাদের ছেলে মেয়েরা একদিন ডিগ্রি নিয়ে বের হবে তা ভাবলেই অন্য রকম এক আনন্দ মনের মধ্যে কাজ করে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানান, টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটের কাজ অর্ধেক অংশ শেষ পর্যায়ে। করোনা মহামারির জন্য কাজে একটু ধীর গতি ছিল। আশা করি ২০২২-এর ডিসেম্বর নাগাদ আমরা এই প্রকল্পের সকল কাজ শেষ করতে পারবো।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর সুনামগঞ্জে টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী (তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী) এমএ মান্নান এমপি এবং তৎকালীন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।