স্টাফ রিপোর্টার ::
বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের স্মৃতিধন্য দিরাই উপজেলার ধল গ্রামে বাউল একাডেমি স্থাপনের দাবি উঠেছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে বাউল সম্রাটের জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করার পাশাপাশি তার গানের প্রকৃত সুরক্ষায় গানের বিদ্যালয় বা বাউল একাডেমি স্থাপনের দাবি তার ভক্ত ও সংস্কৃতি কর্মীদের। বাউল সাধকদের গান সংগ্রহ ও গবেষণায় বাউল একাডেমি স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংশ্লিষ্টরা।
সংস্কৃতিকর্মী কে.জি মানব বলেন, বাউল করিম কেবল সুনামগঞ্জের সম্পদ নয়, তিনি বাংলাদেশ তথা বিশ্ব লোকসাহিত্যের সম্পদ। করিমের গানের প্রকৃত সুর-কথা রক্ষা ও গবেষণায় একাডেমি নির্মাণ করা প্রয়োজন।
বাউল করিমের পুত্র শাহ নূর জালাল বলেন, আমার বাবা ছিলেন একজন গরিব ও সাধারণ মানুষ। তাই তার গানে খেটে খাওয়া মানুষের কথা উঠে এসেছে। তার গান নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলেছে। সমাজনীতি, রাজনীতি, দর্শন, কোনো ক্ষেত্রে নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেনি। গান চর্চায় বাবার জীবদ্দশায় একটি সংগীত বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। বাবা মৃত্যুর আগে বলে গিয়েছিলেন তার স্মৃতি সরকার যদি কোনো স্থাপনা করে দেয় তাহলে তার বাড়িতেই যেন দেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যে বাউল একাডেমি নির্মাণ হবে তা যেনো আমাদের নিজ গ্রাম ধলেই স্থাপন করা হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামছুল আবেদীন বলেন, গান সংরক্ষণের পাশাপাশি বাউল একাডেমি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একাডেমির জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি আগামী অর্থ বছরে এর নির্মাণকাজ শুরু হবে।