স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লায় প্রায় ৩ বছরেও গঠন করা হয়নি শিল্পকলা একাডেমির কমিটি।
জানাযায়, ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের উপর বেশ তৎপর হতে দেখা যায় নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনকে। উপজেলায় সাংস্কৃতিক চর্চার বিকাশে শিল্পকলা একাডেমির নতুন কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভাও করেন তিনি। মূলত শিল্পকলার কার্যক্রমকে গতিশীল করতেই এমন উদ্যোগ ছিল তাঁর। ৩ মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রস্তাবও করেন। গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটিও।
আজীবন সদস্য হতে গেলে দিতে হবে ৫হাজার টাকা আর সাধারণ সদস্যরা ৩শ টাকা। এতে অনেকই উৎসাহিত হয়ে আজীবন সদস্য হওয়ার জন্য এককালীন ৫হাজার করে টাকা জমা দেন। কিন্তু, টাকা জমা নেওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির কমিটি গঠন না হওয়ায় সম্প্রতি এমন ক্ষোভই প্রকাশ করলেন সাংস্কৃতিমনা ব্যক্তিবর্গরা।
উপজেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি ও রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী কাননবালা সরকার বলেন, প্রায় ২-৩বছর আগে শিল্পকলা একাডেমির কমিটি গঠনের জন্য একটি সভা করেন ইউএনও মহোদয়। সেখানেই তিনি আজীবন সদস্য হওয়ার জন্য ৫হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করে দেন। ৫হাজার টাকা জমাও দেই। পরে কেনো কমিটি গঠন হলো না – আমরা জানি না।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী শাল্লা শাখার সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস বলেন, সেই সভায় আমিও উপস্থিত ছিলাম। ৫হাজার টাকা আমিও দিয়েছি। ৩মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু, কেনো যে কমিটি গঠন করা হলো না-আমরা জানি না। সাধারণ মানুষের টাকারইবা কি হলো? আমরা চাই দ্রুত কমিটি গঠন করা হোক। বর্তমানে শাল্লায় সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ছে। তরুণ প্রজন্মকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতেসাংস্কৃতিক চর্চার বিকল্প নেই।
সাহিত্যিক রবীন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, আজীবন সদস্য হওয়ার জন্য আমিও ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। আমাদের বুঝা উচিত সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্যদিয়েই অসাম্প্রদায়িক চেতনার বার্তা দেওয়া যায়। এপর্যন্ত কমিটি গঠন না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন প্রবীণ এই সাহিত্যিক।
বাউলশিল্পী হান্নান মিয়া বলেন, আমরা ১৫-২০ জনের মত ৫হাজার করে টাকা দিয়েছি। চিত্রশিল্পী নরেন্দ্র কুমার দাস বলেন, আমিও ৭-৮ জনের নিকট থেকে ৩শ’ করে টাকা জমা দিয়েছি কমিটির সাধারণ সদস্য হওয়ার জন্য। কই, কিছুই তো হলো না?
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন বলেন, আমাদের রানিং কাজগুলো ভালই ছিল। করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর সাংস্কৃতিক সমাবেশ বন্ধ ছিল। আমরা যে প্রথম থেকে ফান্ডগুলো কালেকশন করেছি-এফান্ড আছে এখনো। ফান্ড লাগবে আরও, ফান্ড পর্যাপ্ত না একটা নির্বাচন দিতে। এডহক কমিটি করা আছে আবার অনেকই বদলি হয়ে গেছেন। তবে এবছরের শেষের দিকে কমিটি গঠনের কাজ শুরু করবেন বলে জানান তিনি।