স্টাফ রিপোর্টার ::
জলমহাল ব্যবস্থাপনায় যে নীতিমালাগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে সেগুলো অনুসরণ করলে হাওরের মাছের উৎপাদন বাড়বে ছাড়া কমবে না বলে মন্তব্য করেছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ।
তিনি বলেন, হাওর জেলা সুনামগঞ্জ অনেক কাল আগে থেকেই মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। দেশে যে হাওর এবং জলাশয় রয়েছে সেগুলো থেকে আমরা যে প্রাকৃতিক মাছ পেয়ে থাকি তা যেন অব্যাহত থাকে এবং উৎপাদন যেন না কমে সেজন্য হাওরে যে মৎস্য ব্যবস্থাপনা রয়েছে সেটার মধ্যে জলমহাল ব্যবস্থাপনায় অনেক নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে খরচার হাওরে ১৭৩ কেজি পোনা মাছ অবমুক্তকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আছমা বিনতে রফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য অফিসার সুনীল মণ্ডল।
এমপি অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ আরও বলেন, বর্তমানে যুবকরা যেভাবে মৎস্য চাষে আগ্রহী হচ্ছে তা আমাদেরকে আশান্বিত করে। মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। আমাদের মূল দায়িত্বটা হচ্ছে হাওর বা জলাশয় ব্যবস্থাপনার নীতিমালা বাস্তবায়ন করা। এখানে শুধু মৎস্য অধিদপ্তর নয় বরং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় রয়েছে তার মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় যারা জলমহাল ইজারা দেয় তারাও জলমহালগুলোর উন্নয়নের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। সেই নীতিমালাগুলো কার্যকর হলে মৎস্য উৎপাদন বাড়বে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা মৎস্য অফিসার সুনীল মণ্ডল বলেন, মৎস্য ভাণ্ডার বৃদ্ধি করার জন্য সরকারের নির্দেশনায় বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশীয় মাছ রক্ষায় মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বিল, খালগুলো পুনঃখনন করে মাছের আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। হাওর ছাড়াও জলাশয়, পুকুরে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আব্দুর রহমান মাস্টার, সদস্য সচিব আব্দুল কাদির প্রমুখ।