শর্ত সাপেক্ষে পর্যটনকেন্দ্র খোলার সাথে সাথে জেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, বারেকের টিলা, শহীদ সিরাজ লেক (নীলাদ্রি), লাকমাছড়া, শিমুল বাগান, ডলুরাসহ বিভিন্ন স্পটে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু সবক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত থাকছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মার্চ থেকে প্রথম দফায় প্রায় পাঁচ মাস পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ছিল। চলতি বছরেও দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৫ এপ্রিল থেকে দফায় দফায় বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়। প্রায় সাড়ে চার মাস পর ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়াতে স্বস্তি ফিরেছে দর্শনার্থী এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাঝে। ভেঙে পড়া দেশের পর্যটনে নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে ওঠা কঠিন হবে বলে মতপ্রকাশ করেছেন পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন মুগ্ধ করছে পর্যটকদের। তারা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। কিন্তু হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষার দিকে কারো যেন উদ্যোগ নেই। তাছাড়া হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প বিকাশে মহাপরিকল্পনার কথা সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তির পক্ষ থেকে জানানো হলেও কার্যত তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা মনে করি, হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন বিকাশে সরকারকে দ্রুত সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি হাওরের প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।