আশিস রহমান ::
সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রায় ৩৫ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের শ্যামারগাঁও এলাকার একটি কালভার্ট। কালভার্টটি কোনো কাজে আসছেনা। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীসহ পথচারীদের।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় সৃষ্ট শ্যামারগাঁও এলাকার খালে পারাপারের সুবিধার্থে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) আওতায় ১৯৮৬ সালে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ওই সময়েই কালভার্টের একদিকে সংযোগ সড়কের কিছু অংশ পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়া সড়ক পরে আর মেরামত করা হয়নি। সড়কটি মেরামতের জন্য একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছে এখানকার বাসিন্দারা। কিন্তু আজোবধি সড়কটি মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে শুকনো মৌসুমে কোনো রকমে চলাচল করা গেলেও সংযোগ সড়কের অভাবে বর্ষা মৌসুমে এদিক দিয়ে একেবারেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে শ্যামারগাঁও এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কালভার্টটি পশ্চিম দিকের সংযোগ সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। গত ৩৫ বছর পূর্বে পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ভেঙে যাওয়া কালভার্টের সংযোগ সড়কের পশ্চিমের অংশ এখনো পর্যন্ত ওই অবস্থাতেই পড়ে আছে। দীর্ঘ প্রায় তিন যুগেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল মিয়া বলেন, কালভার্ট থাকলেও রাস্তা না থাকায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে বাঁশের সাঁকো কিংবা নৌকায় করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রতিদিন এলাকার বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও হাট-বাজারে যেতে কষ্ট করতে হচ্ছে।
শ্যামারগাঁওয়ের বাসিন্দা আমির উদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকায় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা নির্বাচনের সময় এসে ভোট নিয়ে যায়। নানান প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু আমাদের এইসব সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেয় না কেউ।
নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ বলেন, একপাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় বছরের পর বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে কালভার্টটি। এখানে সড়কটি মেরামত করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) উপসহকারী প্রকৌশলী সাদিরুল ইসলাম বলেন, এখানে আমাদের কিছু করার নেই। এসব বিষয় জনপ্রতিনিধিরা দেখেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুর রহিম বলেন, এই কালভার্টের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আপনারা যদি পারেন কিছু করেন।