সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
এশিয়ার নোবেল খ্যাত রেমন ম্যাগসেসে- ২০২১ পদক পেয়েছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী আইসিডিডিআরবির সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. ফেরদৌসী কাদরী। তিনি প্রতিষেধকবিদ্যা এবং সংক্রামক রোগ গবেষণাকারী বিজ্ঞানী। প্রায় ২৫ বছর কলেরার টিকা উন্নয়নে কাজ করেছেন এই বিজ্ঞানী। এছাড়া তিনি ইটিইসি, টাইফয়েড, হেলিকোব্যাকটের পলরি, রোটা ভাইরাস ইত্যাদি অন্যান্য সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ।
ফেরদৌসী কাদরী ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চের (আইসিডিডিআর,বি) মিউকোসাল ইমিউনোলজি এবং ভ্যাকসিনোলজি ইউনিটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বৈজ্ঞানিক সাফল্য আন্ত্রিক ও ডায়রিয়াজনিত প্রতিষেধক এবং টিকাসহ ভাইব্রিও কলেরা এবং এন্টারোঅক্সিজেনিক এসছতোছিয়া কোলাই- যেগুলো ডায়রিয়াসহ আন্ত্রিক রোগের প্রধান কারণ। তার প্রধান অধ্যয়নের বিষয় ছিল বাংলাদেশে হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি এবং টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের প্রতিক্রিয়ার উপর গবেষণা ও প্রতিষেধক প্রস্তুতকরণ।
র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টি মঙ্গলবার ২০২১ সালের পুরস্কারের জন্য ফেরদৌসী কাদরীসহ চারজন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে। সম্মানজনক এই পুরস্কারকে ‘এশিয়ার নোবেল’ বলা হয়।
ফেরদৌসী কাদরীর সঙ্গে পাকিস্তানে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ করা মুহাম্মদ আমজাদ সাদিক, উদ্বাস্তুদের সহায়তায় কাজ করা মানবাধিকার কর্মী স্টিভেন মানসি, ফিলিপিন্সের মৎস্যজীবী রবার্তো ব্যালস এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রোডাকশন হাউজ ওয়াচডক এবার এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
পুরস্কার পাওয়ায় ম্যাগসেসে কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক ভিডিও বার্তায় ড. ফেরদৌসী কাদরী বলেন, আমি আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করছি। র্যামন ম্যাসসেসেকে এ জন্য ধন্যবাদ জানাই। এ পুরস্কার আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশের প্রতি উৎসর্গ করলাম। সেই সঙ্গে আমার প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবিকে উৎসর্গ করছি। এ প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে আমার কাজ এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করেছে।
ফেরদৌসী কাদরী বলেন, আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ এবং পুরো বিশ্বের কাছে। আমি ঋণী আমার পরিবারের কাছে। আমার স্বামী ও তিন সন্তানের কাছে। তারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন বিগত দিনগুলোতে। ফেরদৌসী কাদরী তার বার্তায় বাকি জীবন জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে উৎসর্গ করার প্রতিশ্রুতি দেন।