স্টাফ রিপোর্টার ::
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার আছে এবং সেই সমান অধিকার নিয়েই আপনারা থাকবেন। জাতির পিতার এটাই স্বপ্ন ছিল। এই বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার। এই বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরে এমএ মান্নান বলেন, বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, বিশ্বে একটা মর্যাদার স্থান পাবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা বঙ্গবন্ধ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করছি।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫ হাজার ২৪৭তম শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সোমবার সকালে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, জেলা কার্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এসব কথা বলেন। শহরের শ্রীশ্রী জগন্নাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে প্রার্থনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা হচ্ছে সুনামগঞ্জ। এখানে বহুধর্মের মানুষজন যুগ যুগ ধরে সম্প্রীতির ঐতিহ্য বহন করে বসবাস করছেন। সকল ধর্মের মানুষের সমন্বয়ে ধর্মীর আচার অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আগ্রাসনের কবল থেকে এই বাঙালী জাতিকে আলাদা একটি ভূখণ্ড উপহার দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তৎকালীন সময়ে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে এবং ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মবলিদান ও দু’লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই আলাদা ভূখণ্ড সোনার বাংলাদেশ। জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করছেন।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি প্রকৌশলী পি কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সহকারী প্রকল্প পরিচালক রবীন আচার্য্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিজন কুমার সিংহ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমের মহারাজ শ্রীমত স্বামী হৃদয়ানন্দ, রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক যোগেশ্বর দাস, সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিমান কান্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক বিমল বণিক, হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় তালুকদার বিজু, কেন্দ্রীয় দুর্গাবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ পদ দাস, বিপ্রেশ রায় বাপ্পী, সুনামগঞ্জে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের কম্পিউটার অপারেটর যীশু দাস, ফিল্ড সুপারভাইজার পুল্লাদ কুমার বিশ্বাস, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।