স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সুরমা নদী। এই নদী পারাপারের জন্য ইব্রাহিমপুর-জেলরোড অংশে রয়েছে খেয়াঘাট। যা ইব্রাহিমপুর খেয়াঘাট নামে পরিচিত। খেয়াঘাটের শহর অংশ জেলরোডে প্রতিদিনই জমে ওঠে কাঁচা বাজার। লোকারণ্য বাজারে বিকি-কিনি চলে সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। কোনো কোনো দিন এর আরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়। এই সময়ের মধ্যে খেয়াঘাটে যাওয়ার রাস্তা ঘিরে পসরা সাজিয়ে বসেন সবজি বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে যাত্রীরা পড়ে চরম ভোগান্তিতে। রাস্তা থেকে দূরে পসরা নিয়ে বসার অনুরোধ জানালেও বিক্রেতারা খেয়া যাত্রীদের কথা শুনেন না। ফলে ভিড় ঠেলে এবং সবজির পসরা এড়িয়ে অনেক ভোগান্তিতে যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের।
ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারণের সাথে কথা হলে তারা জানান, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ইব্রাহিমপুর খেয়াঘাটের রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
ইব্রাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. তারা মিয়া বলেন, কাঁচা বাজারের এ সমস্যাটা অনেক দিনের। চলাচলে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ মোকাবেলা করতে হয়। সবজি ব্যবসায়ীরা যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা মোটেও দেখছেন না।
যাত্রী মো. সাজু মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমরা এ দুর্ভোগ মোকাবেলা করে আসছি। কোমলমতি শিশু, শিক্ষার্থী ও মহিলা যাত্রীদের চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ মোকাবেলা করতে হয়।
যাত্রী অলিউর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবজি বিক্রেতা এবং ব্যবসায়ীদের সরিয়ে নিলে পারাপারগামী যাত্রীসাধারণের অনেক উপকার হতো।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। অবশ্যই তাদের ব্যবস্থা করা হবে। তবে এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। দেশে করোনা পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসলে জেলা প্রশাসনকে নিয়ে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। তখন আর পারাপারগামী যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ মোকাবেলা করতে হবে না।