1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

কষ্টে দিন কাটছে বাউলশিল্পীদের

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১

জয়ন্ত সেন ::
করোনাকালে কষ্টে দিন কাটছে শাল্লা উপজেলার বাউলশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীদের। বর্তমানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বাউলশিল্পী সুজন বিশ্বাস এখন শাক সবজি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বুধবার নিজ গ্রাম আনন্দপুর বাজারে তাকে সবজির পসরা নিয়ে বসতে দেখা যায়।
একাধিক প্রতিভার অধিকারী শিল্পী সুজন বিশ্বাস বলেন, আমি একজন ছোটখাটো বাউলশিল্পী। আবার কীবোর্ডও বাজাতে পারি। মূলত সঙ্গীতের উপর নির্ভর করেই চলে আমার সংসার। কিন্তু, কোনো গানের প্রোগ্রাম নাই। করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে দেশে চলছে দিনের পর দিন কঠোর লকডাউন। একারণেই আয়োজকরা সাংস্কৃতিক কোনো আয়োজন করছেন না। বাধ্য হয়েই জীবন বাঁচাতে কিছু একটা করার চেষ্টা করছি মাত্র।
বেহালা বাদক হরি দাস বলেন, গান বাজনা না থাকায় বিভিন্ন বই বিক্রি করতে হচ্ছে গ্রামে গ্রামে গিয়ে। আমাদের কষ্টের শেষ নাই।
বাউলশিল্পী রথীন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, আমি খুবই বিপদে আছি। মানুষের কাছ থেকে ২শ’ – ৩শ’ টাকা চাইয়া আনতাছি। কুছতা করতামও পারতাছি না। পুঁজিও নাই। সঙ্গীতেই জীবন আমাদের। কেনো প্রোগ্রাম না থাকায় কোনো ইনকাম নাই। অসহায় অবস্থায় আছি।
উপজেলার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস বলেন, কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করছেন সঙ্গীতশিল্পীরা। অন্যরা কিছু একটা করার অভ্যাস থাকলেও শিল্পীরা তা পারেন না। আমি উপজেলার ১শ’ শিল্পীর তালিকা দিয়েছিলাম। সেখানে সহায়তা পেয়েছেন মাত্র ১০জন। প্রয়োজনের চেয়ে এই সহায়তা খুবই অপ্রতুল। সরকার শিল্পীদের জন্য আরও বেশি করে প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com