আশিস রহমান ::
সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে ২-৩টি গাছ। এসব গাছ অপসারণ না করেই দুইপাশে সড়ক সম্প্রসারণ করায় এখন প্রতিবন্ধকতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই বড়ধরনের গাড়ি চলাচলের সময় রাতবিরাতে এখানে এসে বেকায়দায় পড়ে, প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ব্যস্ততম সড়ক হওয়ায় প্রতিনিয়তই এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ ভবন কমপ্লেক্সের সামনে উপজেলা সদর থেকে ছাতক লাফার্জগামী সড়কের মাঝখানের এসব গাছ কয়েক বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবন্ধকতা হওয়া স্বত্ত্বেও আজোবধি এই কয়েকটি গাছ অন্যত্র অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা জানান, সড়ক সম্প্রসারণের সময় দায়িত্বশীলদের উদাসীনতায় দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিবন্ধক গাছ রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে।
পথচারী মাহমুদুর রহমান রাসেল বলেন, এই কয়েকটা গাছের কারণে সবসময় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। কখন না জানি বড় দুর্ঘটনা ঘটে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এদিক দিয়ে প্রশাসনের লোকজন নিয়মিত আসা যাওয়া করে। অথচ এই বিষয়টি নিয়ে কেউ ভাবেনা।
সিএনজি চালক স্বপন মিয়া বলেন, এই কয়েকটা গাছ অপসারণ করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি দুইটা গাড়ি আসা যাওয়া করা যায়না গাছের কারণে। এদিক দিয়ে চলাচলকালে সবসময় গাছগুলি গাড়ির সামনে পড়ে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা নীতিশ চক্রবর্তী বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে গাছ অপসারণের কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে গাছগুলো অপসারণ করা হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, এই কয়েকটা গাছ জেলা পরিষদের লাগানো। যদিও সড়কের এই অংশটা এখন কাগজপত্রে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিন্তু আগে যখন সড়ক সম্প্রসারণ কাজ করা হয়েছিল তখন এটা আমাদের মাধ্যমে হয়নি। যারা সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করেছে তারা সড়কের মাঝখানে গাছ রেখেই কাজ করেছে। গাছগুলো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণ হতে পারে। উপজেলা প্রশাসন নির্দেশনা দিলে বন বিভাগের সাথে আলাপ করে এগুলো অপসারণ করা হবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, যখন সড়ক সম্প্রসারণ করা হয়েছিল তখন গাছগুলো একপাশে রেখে সড়ক সম্প্রাসারণ করা হয়নি। গাছগুলো বেশ বড়। যেহেতু এই সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন তাই এবিষয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করবো।