শহীদনূর আহমেদ ::
সুনামগঞ্জে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৮ জন নতুন রোগী করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে। এছাড়াও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন আরও ১ জন। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছেন ৪৪ জন। গত ১ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ২৫ দিনে আক্রান্ত হয়েছে ৯৭৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে আসোলেশনে আছেন ৮৩১ জন। জেলা করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৭৯ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৩ হাজার ১০৪ জন।
জেলার ১১ উপজেলায় করোনার প্রাদুর্ভাব থাকলেও আশঙ্কাজনক হারে সংক্রমিত হচ্ছে সদর উপজেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। ঘটছে অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু। এক শোকের রেশ কাটতে না কাটতে শুনতে হচ্ছে নতুন মৃত্যুর সংবাদ। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করতে হচ্ছে মানুষজনকে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বিভিন্ন স্থানে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি করোনার উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিধি-নিষেধ আরোপ করলেও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ঈদুল আজহার জন্য লকডাউন শিথিল করে সরকার। পরবর্তীতে আবারো শুরু হয় কঠোর লকডাউন।
জানাগছে, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালে আইসোলেসনসহ রোগী ভর্তি রয়েছেন ৪৭ জন। করোনা রোগীদের সাধারণ সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সেবা দেয়া হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রোগী। আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে সকল স্তরে সাবধানতা অবলম্বন না করলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে।
এদিকে লকডাউন পরিস্থিতি সর্বাত্মকভাবে পালন করতে প্রশাসন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। সর্বাত্মক লকডাউন পালনে সেনাবাহিনীর সাথে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, সংক্রমণ বাড়ছে। বিনা প্রয়োজন ঘরে বাইরে যাওয়া যাবে না। গেলেও অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।