রাজন চন্দ ::
রাত ১০টায় বিদ্যুৎ চলে যায়। সারারাত বিদ্যুৎহীন থাকার পর দুপুর ১২টায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। তন্মধ্যে দিনের বেলায় আবারো দু’তিনবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এভাবেই চলছে তাহিরপুর উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং।
নিয়মিত লোডশেডিং ছাড়াও আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে কখন আসবে তার নিশ্চয়তা নেই। দিনরাত যখন ইচ্ছা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
অপরদিকে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎনির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোকন বলেন, উপজেলা সদরে বিভিন্ন সরকারি অফিস, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকার পরও অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না। বিশেষ করে রাতের বেলায় লোডশেডিং হওয়াতে নানামুখি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তাহিরপুর সদর বাজারের ব্যবসায়ী লিটন রায় জানান, বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফ্রিজিং করে রাখা অনেক পণ্য নষ্ট হচ্ছে প্রতিদিনই।
মুদি ব্যাবসায়ী সুজিত বণিক বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয় আমাদের অতিষ্ঠ করে তুলছে। রাত-দিনে সাত-আট বার বিদ্যুৎ যায়-আসে। আমাদের জনজীবন ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সচল রাখার জন্য বিদ্যুতের এ ভেলকিবাজি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।
তাহিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ শাখার অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সপ্তাহ ধরে নয় গত ২ দিন ধরে রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। আর বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণ হলো সুনামগঞ্জ থেকে আসা বিশ্বম্ভপুর বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা ছিল। বর্তমানে এটি ঠিক করা হয়েছে।